সরকার যখন চাইবে তখনই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার চিঠিটা পাওয়ার পর প্রস্তুতি জোরদার হয়। নির্বাচন করার বিষয়ে ইসি প্রস্তুত না; এই ব্লেম নিতে চায় না ইসি। সরকার যখন চাইবে তখনই আমরা নির্বাচন করতে প্রস্তুত থাকবো।’
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত (দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স) ট্র্যাসি এ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কারো কোনো প্রভাব ছাড়াই নিজেদের মতো করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সর্বশক্তি দিয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে একটা সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করবো।’
তিনি বলেন, ‘মার্কিন দূত আমার কাছে জানতে চান, মব সৃষ্টি নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কিনা। এ বিষয়ে আমি বলেছি, নির্বাচনের সময় এই মব জাস্টিস থাকবে না।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তিনি নির্বাচনের অবস্থাটা বুঝতে আসছেন। আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচনটা করতে পারি। ইসিতে যোগদানের পর থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ যাদের সঙ্গে কথা বলি তারা আমাদের জানান, আপনারা যেভাবে চাইবেন আমরা সেভাবেই সহযোগিতা করবো।’
নাসির উদ্দীন বলেন, নির্বাচনে কালো টাকার দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে পারবো না। তবে কমানোর চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের শুনানিতে বিএনপি ও এনসিপির নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে যাকে দোষী ভাবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়: জ্যাকবসন