ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবক দেবেন না: ভারতকে জামায়াত আমির

‘চাইলে আমরা কিছু কিছু চাঁদাবাজি করতে পারতাম। কিছু দখল নিতে পারতাম। কিন্তু এটা আমাদের জন্য হারাম মনে করি। প্রিয় দেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের আরও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।’

আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম

আগামীর বাংলাদেশকে তরুণদের তুলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর আমরা দফায় দফায় অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। কিন্তু সেই আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারিনি। স্বৈরাচার আমরা তাড়াতে পারিনি, বিদায় করতে পারিনি। আমি গর্বিত আমাদের সন্তানরা সেই কাজটি করেছে। আমি আমাদের সন্তানদের ভালোবাসা উপহার দিচ্ছি। শ্রদ্ধ জ্ঞাপন করছি, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। জাতির পক্ষ থেকে তাদের স্যালুট জানাচ্ছি। এরকম সন্তান পেয়ে জাতি গর্বিত। ইনশাআল্লাহ আগামীর বাংলাদেশ আমরা তাদের হাতে তুলে দেবো।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা শাখা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যের শুরুতেই জুলাই আন্দোলনের স্লোগান উচ্চারণ করে বলেন, ‘বুকের ভিতর তুমুল ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’ তাদের ক্ষোভটা ছিল সাড়ে ১৫টা বছর। এ সময়য় তারা জাতির ঘাড়ে বসে সব অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। দেশটা শ্মশান কিংবা গোরস্তানে পরিণত করেছিল। এরা মাঝে মাঝে বলতো দেশে নাকি অনাবিল শান্তি বিরাজ করছে। আমরা বলতাম শান্তি তোমরা কায়েম করেছ কবরের মতো। যেখান থেকে হাসি কিংবা কান্নার শব্দ শোনা যায় না।’

তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশকে বলতে চাই... আপনারা শান্তিতে থাকেন। আমাদেরও শান্তিতে থাকতে দেন। আপনাদের পাকঘরে কি পাকাবেন আমরা জিজ্ঞেস করি না। আমাদের পাকঘরে উঁকি মারার চেষ্টা করবেন না। নিজেরা আয়নায় চেহারা দেখুন। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবক দিতে হবে না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘চাইলে আমরা কিছু কিছু চাঁদাবাজি করতে পারতাম। কিছু দখল নিতে পারতাম। কিন্তু এটা আমাদের জন্য হারাম মনে করি। প্রিয় দেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের আরও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে।’

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বৈষম্য নির্বাসনে পাঠাবো। আমরা মেধার স্বীকৃতি দেবো। পলিটক্রেসি নয় মেরিটক্রেসির ভিত্তিতে জাতি গঠন করবো। যুবকদের শিক্ষা দিয়ে বেকারের হাত বাড়াবো না, যুবকদের হাত কর্মীর হাতে পরিণত করবো।

AS
আরও পড়ুন