ঢাকা
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জামায়াতের মনোনয়ন পেয়ে যে ঘোষণা দিলেন অলিউল্লাহ নোমান

আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৭ এএম

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুখলিছুর রহমানের পরিবর্তে সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আসনটিতে। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) এ ঘোষণার পর থেকে তিনি আলোচনায় রয়েছেন। এরইমধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন জনগণের ভোটে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে শুল্কমুক্ত গাড়ি, সরকারের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে প্লট দেওয়া হয় তা নেবেন না। 

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এমন ঘোষণা দেন।

সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান লিখেছেন, আল্লাহ সুযোগ দিলে বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করবো। সকল প্রশংসা আল্লাহর এবং তারই ওপর আমাদের সকল ভরসা। নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে। শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ী সবার দোয়া এবং সহযোগিতা চাই। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।

তিনি লিখেছেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন, নতুন বাংলাদেশ গড়া এবং মাধবপুর-চুনারুঘাটের আধুনিকায়নই হবে আমার মূল লক্ষ্য। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে হবে আমার লড়াই। ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।

বৈষম্য বিলোপের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি নিজ থেকেই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শুরু করব, ইনশাল্লাহ। আল্লাহ যদি কামিয়াব করেন, সংসদ সদস্যদের জন্য যে বৈষম্যমূলক বিশেষ সুবিধা তৈরি করা হয়েছে, প্রথমেই সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাব। এর অংশ হিসেবে আমি নিজে আইনগতভাবে প্রাপ্য নিম্নোক্ত বৈষম্যমূলক বিশেষাধিকারগুলো পরিত্যাগ করব।

তিনি লিখেছেন, বর্তমানে প্রচলিত আইনে সংসদ সদস্যদের করমুক্ত গাড়ি কেনার যে বিশেষ সুবিধা রয়েছে, আমি তা নেব না। কারণ শুল্ক হচ্ছে রাষ্ট্রের পাওনা-অর্থাৎ, এটি ২০ কোটি মানুষের হক। প্রয়োজনে আমি এখন যেভাবে সাধারণ চলাফেরা করি-রিকশা, সিএনজিচালিত বেবি, অটোরিকশা-এসবই ব্যবহার করব।

জমি বরাদ্দের বিষয়ে তিনি লিখেছেন, সাধারণ নাগরিক, যাদের অনেকেই ভূমিহীন, তাদের ভোটে সংসদ সদস্য হওয়ার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমি মনে করি, এটা ভূমিহীনদের সাথে উপহাস। তাদের ভোটে এমপি হয়, অথচ এমপি সাহেব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমি পান। আমি ওয়াদা করছি, এরকম বৈষম্যমূলক জমি বরাদ্দ আমি চাইব না।

এর বাইরেও সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার জন্য যত বরাদ্দ থাকবে, সব প্রকাশ করা হবে। এগুলো একটি নোটিশবোর্ডে টাঙিয়ে রাখা হবে, যাতে সবাই জানতে পারেন কী বরাদ্দ এসেছে। এই বরাদ্দগুলো সবাইকে নিয়ে যথাযথ ব্যবহারের জন্য স্থানীয় পরামর্শ নেওয়া হবে।

AHA
আরও পড়ুন