ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সহকর্মীকে আপত্তিকর ছবি পাঠানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ সাবেক কোচ

আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০১:৪২ এএম

ইংল্যান্ডের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের সাবেক এক কোচের বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীকে আপত্তিকর ছবি পাঠানো ও আচরণের অভিযোগ উঠেছিল। যার দায়ে স্বাধীনভাবে পরিচালিত ক্রিকেট ডিসিপ্লিন প্যানেল (সিডিপি) তাকে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত কোচের নাম প্রকাশ করেনি সংস্থাটি। ইএসপিএন ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।

তথ্যমতে— শাস্তিপ্রাপ্ত ইংলিশ কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে– ২০২৩ ও ২০২৪ সালে দুই নারী সহকর্মীকে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ ছবি পাঠানো এবং একজনকে ক্লাবের চেঞ্জিং রুমে চুমু খাওয়ার চেষ্টা। সিডিপি তার বিরুদ্ধে পাঁচটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ স্বীকার করার পর এই শাস্তি দেয়। তবে কোচের স্বাস্থ্যের বিষয়ে ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতি এবং গুরুতর ক্ষতির ঝুঁকি’ থাকায় নাম প্রকাশ করেনি তারা।

এর আগে আচরণজনিত অসঙ্গতির অভিযোগ উঠার পরই ওই কোচকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এবার নয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো তাকে। এর মধ্যে অবশ্য নিষেধাজ্ঞার ছয় মাস আগেই কার্যকর হয়েছে এবং দায় স্বীকার করায় বাকি তিন মাস স্থগিত রাখা হয়েছে এক বছরের জন্য। একইসঙ্গে তিনি অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন এবং সংশোধনমূলক শিক্ষা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থার কাছে। 

ট্রাইবুনালে জানানো হয়, একজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে অভিযুক্ত কোচ ‘অপ্রাসঙ্গিক ও যৌনধর্মী বার্তা চালাচালি’ করেছেন। ভুক্তভোগী বিরক্তি প্রকাশ করলে তিনি তা বন্ধ করেন, কিন্তু কিছুদিন পর আবারও একইরকম আপত্তিকর বার্তা পাঠান। আরেক ভুক্তভোগী ওই কোচের তুলনায় বয়সে অনেক ছোট এবং পেশাগত কারণে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বাধ্য ছিলেন। তার কাছেও অশ্লীল ছবি পাঠানো হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি। পরে অভিযুক্ত কোচ তাকে চেঞ্জিং রুম পরিষ্কার করতে বলেন এবং সেই সময় ‘চুমু খাওয়ার জোরপূর্বক চেষ্টা’ চালান। ওই সময় ভুক্তভোগী তরুণী নিজেকে সামলে পিছিয়ে যান।

সিডিপি জানিয়েছে, যদিও অভিযুক্ত কোচ সরাসরি কোনো দায়িত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন না, তবুও তার বয়স ও পদের কারণে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে স্পষ্ট ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা ছিল। এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেন ক্রিকেট রেগুলেটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস হাওয়ার্ড। একইসঙ্গে তিনি ভুক্তভোগীদের সামনে এসে প্রতিবাদী অবস্থানের প্রশংসা করেছেন।

ডিসিপ্লিনারি ট্রাইবুনালের প্রত্যাশা– তিনি (অভিযুক্ত কোচ) এখন একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠবেন। পাশাপাশি এখন কর্মক্ষেত্রের সীমারেখা, সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার ও যৌন হয়রানির বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন তিনি। তার মধ্যে ইতোমধ্যে কিছু পরিবর্তন এসেছে এবং অনেকদিন ধরে কাউন্সেলিংয়ের মধ্য দিয়েও গেছেন।

KHK
আরও পড়ুন