ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সামরিক উত্তেজনায় ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) পড়েছে বড় অনিশ্চয়তায়। বৃহস্পতিবার জম্মুতে পাকিস্তানি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচটি মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয়। নিরাপত্তার খাতিরে আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট, দ্রুত খালি করা হয় গ্যালারি।
এমন দৃশ্যপটে শুক্রবারের লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যদিও আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, তবে সরকারের নির্দেশনার ওপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে।
ধর্মশালা থেকে দুই দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় ট্রেনে করে। ১১ মে ধর্মশালায় পাঞ্জাবের আরেকটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল, সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আহমেদাবাদে। বিসিসিআই জানিয়েছে, নিরাপত্তাই এখন তাদের প্রথম অগ্রাধিকার।
ঘটনার অভিঘাতে বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পিটিআই জানিয়েছে, অনেক বিদেশি ক্রিকেটারই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং দ্রুত দেশে ফিরতে আগ্রহী। পাকিস্তান সুপার লিগও একই কারণে পাকিস্তান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বৃহস্পতিবার রাতেই জরুরি বৈঠক করে। যদিও এখন পর্যন্ত বিসিসিআই ‘পর্যবেক্ষণ’ নীতিতেই অটল, তবু জাতীয় স্বার্থ এবং জনমনের অনুভূতির কথা মাথায় রেখে আইপিএল স্থগিত রাখার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।