ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ছিনতাইকৃত 'এমভি রুয়েন' থেকে ১৭ নাবিক উদ্ধার, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ

আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম

সোমালিয়ার জলদস্যুদের দখলে থাকা পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি রুয়েন’ থেকে ১৭ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।ওই সময় ৩৫ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে। ভারতীয় নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

জলদস্যুরা গত ডিসেম্বরে জাহাজটি ছিনতাই করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে সোমালিয়ার উপকূলে বাংলাদেশের পতাকাবাহী যে কার্গো জাহাজ ছিনতাই করা হয়েছে, তার জন্য জলদস্যুরা এ জাহাজটিকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে থাকতে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কলকাতা এমভি রুয়েনের মাধ্যমে জলদস্যুদের ছিনতাইচেষ্টা ভণ্ডুল করে দেয়। এটি ভারতীয় উপকূল থেকে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দূরে নোঙর করা ছিল। এই অভিযানে আইএনএস সুভদ্র নামের আরেকটি জাহাজের ভারতীয় জাহাজও অংশ নেয়। 

গত শনিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, মাল্টার পতাকাবাহী বাল্ক কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েনে থাকা ৩৫ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। জাহাজটিতে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এসআর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এরপর গত মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। এদিকে, ভারতীয় ও ইউরোপিয়ান নৌবাহিনীর তৎপরতায় স্থির হতে পারছে না এমভি আব্দুল্লাহ’র ছিনতাইকারী জলদস্যুরা। নিজেদের এলাকায় অবস্থান করলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় বারবার স্থান পরিবর্তন করছে তারা। ভারত মহাসাগরে ছিনতাইয়ের পর এমভি আব্দুল্লাহকে নিয়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) পর্যন্ত দু’বার স্থান পরিবর্তন করেছে জলদস্যুরা। সবশেষ সেটি রাখা হয়েছে সোমালীয় উপকূল থেকে ৫ নটিক্যাল মাইল দূরে। সাবেক মেরিনাররা বলছেন, পুরোপুরি স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত মুক্তিপণের জন্য যোগাযোগ করবে না দস্যুরা।

আব্দুল্লাহকে উপকূলে নেয়ার পথে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে কয়েক দফা তৎপরতা চালায় ভারত ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নৌবাহিনী। তবে নাবিকদের জীবনের ঝুঁকি থাকায় পিছু হটে নৌসদস্যরা। এখনো নজরদারিতে থাকলেও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কোনো দেশের জলসীমার ১২ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ নেই। তাই জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণেই আছে ছিনতাইকৃত বাংলাদেশি জাহাজটি। 

RY/AST
আরও পড়ুন