দিন দুয়েক আগেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই ধরনের অব্যাহত হামলার জেরে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতিরও সম্মুখীন হচ্ছে সমগ্র ইউক্রেন।
এমন অবস্থায় ইউক্রেনকে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রোববার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি লিখেছেন, “ইউক্রেনের এখন এমন সহায়তা প্রয়োজন, যা মানুষের জীবন বাঁচাবে। আর তা হচ্ছে- আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, আরও নিরপত্তাসামগ্রী এবং আমাদের অংশীদারদের আরও দৃঢ় অবস্থান।”
এদিকে কিয়েভে শুক্রবারের রুশ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজন হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জেলেনস্কি জানান, নিহতদের একজন নাতালিয়া খোদেম্নচুক— তিনি চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সেই অপারেটরের স্ত্রী, যিনি ১৯৮৬ সালের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “প্রায় চার দশক পর নাতালিয়া আবারও ক্রেমলিনের কারণে এক নতুন ট্র্যাজেডিতে জীবন হারালেন।”
এদিকে ইউক্রেন শনিবার জানায়, তারা মস্কোর কাছে একটি রুশ তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানায়, রিয়াজান অঞ্চলের ওই রিফাইনারিতে আঘাত হানা হয়েছে। তাদের ভাষ্য, “রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার সক্ষমতা কমানোর অংশ” হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
মূলত ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন নিয়মিতভাবে রাশিয়ার ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে।
এছাড়া রিয়াজানের গভর্নর পাভেল মালকভ জানান, রাতে অঞ্চলটির আকাশসীমায় ইউক্রেনের ২৫টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তিনি টেলিগ্রামে লেখেন, “ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি প্রতিষ্ঠানে আগুন লেগে যায়”। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
গাজা শান্তিরক্ষী বাহিনীর জন্য ২০ হাজার সেনাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া