ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে মুসলিম দেশগুলো

আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ এএম

দোহায় ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনার পর আরব ও মুসলিম দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহায় ওআইসি আয়োজিত জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে ইসরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।

৬০টি দেশের নেতা ও প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

সম্মেলনে যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, কাতারে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা কাপুরুষোচিত ও বেআইনি, যা আঞ্চলিক শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি প্রচেষ্টাকে দুর্বল করছে।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একযোগে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায়। একইসঙ্গে এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাবও এসেছে।

এ প্রসঙ্গে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এই সম্মেলন আরব ও ইসলামি বিশ্বের ঐক্য ও সংহতির প্রতিফলন। তিনি ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ বলে আখ্যায়িত করেন।

এর আগে, রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দোহায় আরব ও ইসলামি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে জানানো হয়, কাতারের নিরাপত্তা পুরো আরব ও ইসলামি বিশ্বের নিরাপত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেইসঙ্গে, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে আসা হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করে, তারা হামাস নেতৃত্বকে সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্য করেছে। অন্যদিকে হামাস বলেছে, এই হামলা প্রমাণ করে যে নেতানিয়াহুর সরকার কোনো শান্তিচুক্তি চায় না, বরং সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে চায়। দোহায় আবাসিক ভবনে চালানো ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিশ্বের নানা দেশ।

DR/SN
আরও পড়ুন