ঢাকা
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারতে বন্ধ হলো বাংলাদেশের আরও দুই টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল 

আপডেট : ১০ মে ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশের আরও দুইটি শীর্ষ টেলিভিশন চ্যানেল — ‘সময় টিভি’ ও ‘ডিবিসি নিউজ’— এর ইউটিউব সম্প্রচার বন্ধ করেছে ইউটিউব। 

বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী সংস্থা ডিসমিসল্যাব শনিবার (১০ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ নিয়ে গত দুই দিনে অন্তত ছয়টি বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলের ইউটিউব চ্যানেল ভারত থেকে ব্লক হলো। এর আগে শুক্রবার (৯ মে) যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন এবং মোহনা টিভি-র ইউটিউব চ্যানেলও একইভাবে ভারত থেকে দেখা যাচ্ছিল না।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ইউটিউবকে অনুরোধ করা হয়েছে এই চ্যানেলগুলো ব্লক করার জন্য, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার ঝুঁকির কথা। ইউটিউবে ভারত থেকে প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা ভেসে আসে: ‘এই কনটেন্টটি বর্তমানে এই দেশে প্রবেশযোগ্য নয়। কারণ, এটি জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সরকারি আদেশের আওতায় রয়েছে।’

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুসারে, যদি কোনো অনলাইন কনটেন্টকে দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা বা আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি মনে করা হয়, সরকার সেই কনটেন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিতে পারে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন-- ‘আমরা ইউটিউবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাখ্যা চাইব। কেন এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা পরিষ্কারভাবে জানতে চাই। যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পাই, তাহলে সরকার পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে।’

ডিসমিসল্যাব জানিয়েছে, এই ছয়টি বাংলাদেশি ইউটিউব চ্যানেলই ইউটিউব-স্বীকৃত (verified) এবং তাদের সম্মিলিত সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ৫ কোটি ৪২ লাখের বেশি। ভারতে এদের দর্শক সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ছিল, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরার বাঙালি দর্শকদের মধ্যে।

এ ধরনের পদক্ষেপ শুধু কনটেন্ট প্রবাহেই নয়, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক, গণমাধ্যমে তথ্যপ্রবাহ এবং আঞ্চলিক সংবাদ উপভোক্তাদের ওপরও বড় রকমের প্রভাব ফেলছে।

এ ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। এর আগে এক্স (সাবেক টুইটার) জানিয়েছে, ভারতের অনুরোধে তাদের আট হাজার অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লক করা হয়েছে। ভারতের বর্তমান সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা নীতির আওতায় বিদেশি মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমগুলোর ওপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Raj/AHA
আরও পড়ুন