বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৃষ্টির দিনে বাইরে না গিয়ে ঘরে বসে, বর্ষা উপভোগ করতে বলেছেন। তার ভাষায়- ‘নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহিরে ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।’
তবে কর্মব্যস্ত এই জীবনে ঘরের বাইরে বের হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। ফলে বৃষ্টিতে ভিজতে হতে পারে যখন তখনই। এ কারণে বর্ষায় পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সবারই সতর্ক হওয়া জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক বৃষ্টির দিনে কেমন পোশাক পরবেন:

বৃষ্টির দিনে আঁটসাঁট পোশাক না পরে একটু ঢিলেঢালা পোশাক বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ভিজে গেলেও অস্বস্তি হবে না। প্রতিদিন পরার জন্য ফ্রক স্টাইলের জামা বা কুর্তি ভালো লাগবে।

আবার চাইলে টি–শার্টের ওপর পরতে পারেন কোটি বা শ্রাগ। গরম লাগলে সুবিধামতো খুলে ব্যাগে রেখে দেওয়া যাবে। আর যারা শাড়িপ্রেমী, তারা বর্ষা উদ্যাপনে জর্জেট কিংবা সিল্ক ফেব্রিককে প্রাধান্য দিলে ভালো। কারণ সেটি ভিজে গেলেও দ্রুত শুকিয়ে যাবে। পোশাক যেটাই হোক না কেন, জমিনে যদি বর্ষার আমেজের মোটিফ থাকে, তাহলে আপনাকে প্রাণবন্ত লাগবে।
ফ্যাব্রিকে গুরুত্ব দিন
বৃষ্টির দিনে এমন ফ্যাব্রিক বেছে নেওয়া উচিত, যেটি একবার ভিজে গেলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাহলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে। এমন আবহাওয়ায় আপনি সিনথেটিক পোশাক পরতে পারেন। শিফন এবং পাতলা সুতির পোশাকও বেশ মানাবে।

মনে রাখবেন, এ সময় ভারী কাজের বা জবড়জং নকশার পোশাক এড়িয়ে চলাই সুবিধাজনক হবে। কারণ, এ ধরনের পোশাক বৃষ্টিতে ভিজলে দ্রুত শুকায় না। তাই যত হালকা ফেব্রিক, তত ভালো।
রঙের দিকটাও নজরে রাখুন
বর্ষার ফ্যাশনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পোশাকের রং। কারণ এই সময়ে আকাশ এমনিই মেঘলা থাকে। তাই আপনি যদি খুব গাঢ় রঙ পরেন, আপনাকে দেখতে ভালো লাগবে না। তাই বৃষ্টির দিনে উজ্জ্বল এবং রঙিন পোশাক পরার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে হলুদ, কমলা, আকাশীর মতো রঙকে গুরুত্ব দিতে পারেন।
বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ দূর করবেন যেভাবে
বর্ষাকালে ১০ উপায়ে চুল রাখুন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল