নাক, কপাল বা মুখের বিভিন্ন অংশে সূক্ষ্ম কালো বিন্দুর মতো যে দাগ দেখা যায়, তা-ই ব্ল্যাকহেডস নামে পরিচিত। দূর থেকে সহজে চোখে না পড়লেও কাছ থেকে তাকালে স্পষ্ট বোঝা যায়। দেখতে অনেকটা ছোট কালো রোমের মতো হলেও এগুলো আসলে ত্বকের ভেতর জমে থাকা তেল, ধুলাবালি ও মৃত কোষের সংমিশ্রণ।
ব্ল্যাকহেডস দূর করতে বাজারে নানা রকম স্ক্রাব ও ক্রিম থাকলেও অনেক সময় এগুলো কাঙ্ক্ষিত ফল দেয় না। ফলে সমাধানের জন্য অনেকে ছুটে যান পার্লারে। তবে বিশেষ কিছু কৌশল জানা থাকলে ঘরেই নিরাপদে ও সহজেই ব্ল্যাকহেডস দূর করা সম্ভব।
কেন হয় ব্ল্যাকহেডস
ত্বকের মধ্যে থাকা সূক্ষ্ম ছিদ্রে যদি তেল, ধুলাবালি বা মৃত কোষ জমে থাকে, তাহলে সেগুলো ব্ল্যাকহেডস-এ পরিণত হয়। ছিদ্রের মুখে যখন এই জমা ময়লা বাতাসের সংস্পর্শে আসে, তখন তা কালো রঙ ধারণ করে এবং ছোট বিন্দুর মতো চিহ্ন দেখা যায়।
তোয়ালে দিয়ে ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কারের কৌশল
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম ভাপ ও তোয়ালে ব্যবহার করে ঘরেই খুব সহজে ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করা সম্ভব। নিচে ধাপে ধাপে পদ্ধতিটি তুলে ধরা হলো-
ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন
পরিষ্কার শুরু করার আগে মুখের ময়লা ও তেল দূর করতে ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
গরম ভাপ নিন
একটি পরিষ্কার তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে পানি চিপে নিন। এরপর সেটি নাক বা মুখের যেসব স্থানে ব্ল্যাকহেডস রয়েছে, সেখানে ৫-৭ মিনিট ধরে রাখুন। গরম ভাপে ত্বকের ছিদ্র উন্মুক্ত হয় এবং ব্ল্যাকহেডস নরম হয়ে যায়।
তোয়ালে দিয়ে আলতোভাবে ঘষুন
এবার তোয়ালেটি ব্যবহার করে আক্রান্ত অংশে হালকা চাপে ঘষুন। এতে ব্ল্যাকহেডসসহ জমে থাকা মৃত কোষ সহজেই ঝরে যাবে। তবে জোরে ঘষা একদমই ঠিক নয়, এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন
শেষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে সতেজ, উজ্জ্বল এবং টানটান রাখতে সাহায্য করবে।
ব্ল্যাকহেডস এড়াতে যা করবেন
- এক্সফোলিয়েশন করুন: সপ্তাহে অন্তত দুই দিন স্ক্রাব ব্যবহার করুন। এটি নতুন ব্ল্যাকহেডস গঠনের ঝুঁকি কমায়।
- পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: অপরিষ্কার বালিশ ও বিছানার চাদরেও ব্ল্যাকহেডসের প্রবণতা বাড়তে পারে। তাই এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
- তোয়ালে পদ্ধতি সীমিতভাবে ব্যবহার করুন: এই পদ্ধতি মাসে সর্বোচ্চ চারবার ব্যবহার করা উচিত। এর বেশি করলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিশেষ পরামর্শ
তোয়ালে দিয়ে ঘরে বসে ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কারের পদ্ধতিটি যেমন কার্যকর, তেমনি সহজ ও ব্যয়বহুল নয়। তবে এটি করতে গিয়ে যেন ত্বকের উপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি। ত্বক পরিচর্যায় নিয়মিততা ও পরিচ্ছন্নতাই হতে পারে আপনার সৌন্দর্যের চাবিকাঠি।
ইনডোর প্লান্টে পাবেন স্বাস্থ্য সুবিধা






আজ কেমন কাটবে আপনার দিন