শীত দরজায় কড়া নাড়ছে। বাতাসে লেগেছে হালকা হিমেল ছোঁয়া। এখনো যদিও শীত পুরোপুরি নামেনি, তবে কার্তিকের শেষ দিকেই ঠান্ডার আমেজ স্পষ্ট হবে। এ সময় ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে অনেকেরই হাত-পায়ের গিরায় ব্যথা বা বাতব্যথা দেখা দেয়। যাদের আগে থেকে বাতব্যথা নেই, তারাও মাঝে মাঝে গিরায় ব্যথা, ক্লান্তি ও আলস্যে ভোগেন। বিশেষ করে যারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করেন, তাদের গোড়ালি ও পায়ের পাতায় ব্যথা বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে হার্ভার্ড হেলথ-এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শীতকালে অস্থিসন্ধির চারপাশের কোষ ও রক্তনালি সঙ্কুচিত হয়, ফলে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়। এতে স্নায়ুতে চাপ পড়ে ও প্রদাহ বাড়ে। পাশাপাশি সূর্যালোকের অভাবে শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা দেয়, যা ব্যথা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
তবে চিন্তার কিছু নেই গিরার ব্যথা দূর করা সম্ভব সহজ কিছু অভ্যাস মেনে চললেই।
গিরার ব্যথা কমানোর ৬টি কার্যকর উপায়
১. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন

শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন। বয়স্কদের জন্য প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় অন্তত ২০ মিনিট হাঁটা জরুরি। এতে অস্থিসন্ধি সচল থাকবে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকবে।
২. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান

মুসাম্বি, আঙুর, লেবু, ব্রকোলি, ফুলকপি, পালংশাক, বেলপেপার ইত্যাদি খাবার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়।
৩. ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন

দুধ, দই, ছানা বা পনির খেলে হাড় মজবুত থাকে। অ্যালার্জি না থাকলে এই খাবারগুলো প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন।
৪. হালকা ব্যায়াম করুন

ব্যথা থাকলেও হালকা লেগ রেজ ব্যায়াম উপকারে আসে। টানটান হয়ে শুয়ে পা দুটো একে একে ৪৫ ডিগ্রি কোণে তুলুন, পাঁচ সেকেন্ড ধরে রাখুন, তারপর নামিয়ে নিন। দিনে দুই পায়ে চারবার করে করতে পারেন।
৫. গরম সেঁক নিন

গরম পানিতে স্নান বা গরম সেঁক দিলে ব্যথা ও শক্ত ভাব কমে যায়। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।
৬. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করুন

বাদাম, মাছ, শাকসবজি ও ওমেগা–৩ সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে প্রদাহ কমে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি, ফলের রস ও তরল খাবার খাওয়াও জরুরি।
ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সামান্য যত্ন নিলেই গিরার ব্যথা থেকে দূরে থাকা সম্ভব। শীত উপভোগ করুন সুস্থ ও সক্রিয় থেকে।
চিয়া সিড খাওয়া কাদের জন্য বিপজ্জনক