ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

কক্সবাজারে পাহাড় ধসের শঙ্কা, মৃত্যুঝুঁকি জেনেও সরছে না মানুষ 

আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:১৬ পিএম

গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে কক্সবাজারে। সাথে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগও। এতে করে কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে ইতোমধ্যে সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার রাত থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও বেশিরভাগ লোকই এর কর্ণপাত করেনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে লাখ লাখ মানুষ। 

সোমবার (১ জুলাই) সকালে কক্সবাজার শহরের বৈদ্যঘোণা, ঘোনারপাড়া, পাহাড়তলী, লাইট হাউস এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে- পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি। পাহাড় কেটে এখানে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য ঘর। 

তবে শুধু এখানেই নয়, কক্সবাজার শহর ও আশপাশের কলাতলী, হিমছড়ি, বাস টার্মিনাল, রুমালিয়ার ছড়া, জেলগেইট, দরিয়া নগরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বাস করছে হাজার হাজার পরিবার। ভারী বৃষ্টিতে এখানে পাহাড়ধসে প্রাণহানি ঘটে প্রতিবছরই। কিন্তু মৃত্যুঝুঁকি জেনেও নানা অজুহাতে এসব বসতি ছাড়তে নারাজ বসবাসকারীরা।

বৈদ্যঘোনার ছৈয়দ আলম বলেন, মাইকে পাবলিসিটি করে আমাদেরকে এখান থেকে নেমে যাওয়ার জন্য বলে। তাদের কথা অনুসারে আমরা যদি নেমে যাই তাহলে ঘরে চোর, ডাকাত আমাদের জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। 

পাহাড়তলী জিয়ানগরের রফিক বলেন, এই বৃষ্টির মধ্যে আর কোথায় যাব, পাহাড় ছাড়া আর কোথাও আমাদের জায়গা নেই। আরেকজন বলেন, সরকার যদি কোন একটা ব্যবস্থা করে দিয়ে এখান থেকে চলে যেতে বলে আমরা চলে যাব।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী মুঠোফোনে জানান, আমরা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছি যাতে তারা তাদের জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তার স্বার্থে খুব দ্রুত নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে যান। এরই অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছি। পাশাপাশি মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।

ARS/FI
আরও পড়ুন