নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বৃহত্তর মেঘনা নদীর মাঝখানে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট জনপদ নিয়ে গড়ে উঠা দ্বীপ ইউনিয়ন কালাপাহাড়িয়া।
মেঘনা বক্ষে অবস্থিত কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের দুটি আলাদা গ্রাম পূর্বকান্দি ও বিবিরকান্দি। মেঘনার একটি শাখা গ্রাম দুটিকে আলাদা করেছে।
এখানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা, একটি পোস্ট অফিস এবং একটি বাজার রয়েছে। রাত পোহালেই পূর্বকান্দি সাহেববাজারে উভয় গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে বাজার-সদাই করে থাকেন। বসবাসও করেন মিলেমিশে।
কিন্তু মাঝখানে বাধ সাধে ছোট্ট শাখা নদীটি। কখনো নৌকাযোগে, আবার কখনো এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে দুই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার বাসিন্দাকে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তবে তাদের সেই কষ্ট ও চিরচেনা দুর্দশার লাঘব হয়েছে সম্প্রতি।
ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে এবং এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে এখানে নির্মিত হয়েছে মনোরম একটি কাঠের সেতু। প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সেতুটি নির্মাণ হওয়াতে এলাকাবাসী এতটাই খুশি যে, দুই গ্রামের লোকজনের মেলবন্ধন ও সম্পর্ককে আরো দৃঢ় ও সুশোভিত করে তুলতে সেতুটিকে নানা রঙে রাঙিয়ে তুলেছেন তারা। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এখানে কখনো বাঁশের সাঁকো ছিল বা এখানে কিছুই না থাকাতে এক সময় নৌকা দিয়ে লোকজনকে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াত করতে হতো।
দীর্ঘদিন পরে হলেও দুই গ্রামের মাঝখানে নদীর উপরে এমন সুদৃশ্য ও মজবুত একটি সেতু পেয়ে অনেক আনন্দিত বলে জানান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ফাইজুল হক ডালিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায়, তা সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভাঙ্গন অব্যাহত, শঙ্কিত মানুষ
ব্যাটারিচালিত রিকশার দখলে হাসপাতাল