সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য প্রবাসী যুবক সিরাজুল ইসলামকে (২৯) মায়ের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকায় কিনে নেয় আসামিরা। পরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে রাস্তার ওপর মরদেহ ফেলে রেখে যায় তারা। আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত ৩ আসামি।
তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করেছে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশ।
নিহত সিরাজুল ইসলাম (২৯) শাহজাদপুর উপজেলার পূর্ব চরকৈজুরী গ্রামের মৃত শাহাদত মণ্ডলের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় ছিলেন।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলার পূর্ব চর কৈজুরী গ্রামে সানোয়ার মন্ডলের ছেলে সেলিম মন্ডল (৩২), শহিদ আলী মন্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৩), মৃত আলহাজ ওয়াজেদ মন্ডলের ছেলে আল আমীন মন্ডল (৩৮), মৃত ইয়াছিন প্রামাণিকের ছেলে ওমর ফারুক (৩৮), মৃত আজগর প্রামাণিকের ছেলে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর প্রামাণিক (৫৫)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলার পূর্ব চর কৈজুরী গ্রামে সানোয়ার মন্ডলের ছেলে সেলিম মন্ডল (৩২), শহিদ আলী মন্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৩৩), মৃত আলহাজ ওয়াজেদ মন্ডলের ছেলে আল আমীন মন্ডল (৩৮), মৃত ইয়াছিন প্রামাণিকের ছেলে ওমর ফারুক (৩৮), মৃত আজগর প্রামাণিকের ছেলে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর প্রামাণিক (৫৫)।
আসামিরা ডিবি পুলিশকে জানায়, শাহজাদপুরের পূর্ব চর কৈজুরী গ্রামের মুসা মন্ডল, গফুর প্রামাণিক এবং ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মাস্টারের মধ্যে শত্রুতার জেরে মারামারি হয়। এ ঘটনায় মুসা মন্ডল ও গফুর প্রামাণিকের লোকজনকে আসামি করে ২০২১ সালে একটি হত্যা মামলা হয়। পরে ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মামলাটি আপস হয়।
আপসের ৫ লাখ টাকা জোগাড় করে খোকন চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেয়। বাকি টাকা না দেওয়ার জন্য এবং সেই হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের লোকজনদের ফাঁসাতে আসামিরা প্রবাসী সিরাজুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
এদিকে প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম মাদকাসক্ত হওয়ায় তার মা অতিষ্ঠ ছিলেন। এরই মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা সিরাজুলের মায়ের কাছে যায় এবং তাকে মেরে ফেলার কথা জানায়। আসামিরা সিরাজুলকে হত্যার জন্য অন্যান্য আসামির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেয়। সেখান থেকে দেড় লাখ টাকা সিরাজুলের মাকে দিয়ে তাকে কিনে নেয়।
এদিকে প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম মাদকাসক্ত হওয়ায় তার মা অতিষ্ঠ ছিলেন। এরই মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা সিরাজুলের মায়ের কাছে যায় এবং তাকে মেরে ফেলার কথা জানায়। আসামিরা সিরাজুলকে হত্যার জন্য অন্যান্য আসামির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেয়। সেখান থেকে দেড় লাখ টাকা সিরাজুলের মাকে দিয়ে তাকে কিনে নেয়।
গত ২৮ অক্টোবর রাতে সিরাজুলকে অন্য এক আসামির বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিরাজুলকে পূর্ব চর কৈজুরী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর নিয়ে যায়। এ সময় তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে আসামিরা চলে যায়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত (৩ নভেম্বর) স্থানীয় ইউপি সদস্য ওমর ফারুকসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাদের আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। আসামি আল আমিন মন্ডল, সেলিম মন্ডল ও আমিরুল ইসলাম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইন বলেন, প্রবাসী যুবক হত্যার ঘটনায় ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের মাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হোসাইন বলেন, প্রবাসী যুবক হত্যার ঘটনায় ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহতের মাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আদালতের বারান্দায় প্রতিপক্ষকে ছুরিকাঘাতে জখম
ভাইকে ফাঁসাতে স্ত্রীকে হত্যা