ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

চাকসু গঠনতন্ত্রে সহ-সম্পাদকের পদ বাদ, যুক্ত হচ্ছে নতুন পদ

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:২৮ পিএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) গঠনতন্ত্রে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। সহ-সম্পাদক পদ বাদ দিয়ে নতুন চারটি মূল সম্পাদক পদ যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে হল সংসদ থেকেও সব সহ-সম্পাদকের পদ বাতিল করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাকসু গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রথম বৈঠকের পর ১১ সেপ্টেম্বর কমিটি এ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। সংশোধিত গঠনতন্ত্র উপাচার্যের অনুমোদনক্রমে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংসদে মোট পদ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকলেও চার সহ-সম্পাদক পদ বাদ দিয়ে যুক্ত হয়েছে নতুন চারটি সম্পাদক পদ। এগুলো হলো- ‘সমাজসেবা ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক’, ‘আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক’, ‘পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক’। এছাড়া যুক্ত হয়েছে ‘ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক’।

হল সংসদেও একই ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেখানে সহ-সম্পাদক পদ বাদ দিয়ে রাখা হয়েছে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ ১৪টি সম্পাদক পদ এবং ৫ জন নির্বাহী সদস্য।

এদিকে আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এতে অন্তর্ভুক্ত আছেন ২৫ হাজার ৮৬৬ জন শিক্ষার্থী। তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল ১৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হবে। জমা নেওয়া হবে ১৫-১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার), প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২১ সেপ্টেম্বর (রোববার) এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেল সাড়ে ৩টা। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার)। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর (রোববার) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর প্রথম চাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালে। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৩৫ বছর তা স্থগিত রয়েছে।

NB/FJ
আরও পড়ুন