হঠাৎ মনে হচ্ছে ওজনটা যেন বেড়ে গেছে। আয়নার সামনে দাঁড়ালে বেশ ভারি দেখাচ্ছে নিজেকে। ব্যস, শুরু হয়ে গেলো টেনশন। খাওয়া কমাতে হবে। আর এই খাওয়া কমানো বলতেই আমরা বুঝি, ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেয়া। আবার ডায়াবেটিস রোগিদের কথাই ধরুন, ভাত খাবো নাকি রুটি এই নিয়ে পড়েন দো-টানায়। এ কথা তো সত্যি যে, ভেতো বাঙালির ভাত ছাড়া চলে না। আর বাঙালির খাদ্য তালিকা মানেই কতো রকম চাল আর নানা স্বাদের ভাত। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বেশিরভাগ মানুষের আজকাল আপত্তি সাদা ভাতে। সাদা ভাত নাকি ওজন বাড়ায়, শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তা বলে কি ভাত খাওয়া ছেড়ে দিবেন?
রিফাইন করা ধবধবে সাদা ভাতে হয়তো পুষ্টিগুণ কম। তাই অনেকেই ব্রাউন রাইস বা কালো চালের ভাত খেয়ে থাকেন। তবে জানেন, হজমের সমস্যা থাকলে সাদা চালের ভাত খাওয়াই ভালো বলে মনে করা হয়। সেদ্ধ চালের ভাত মোটেও ফেলনা নয়। ভাত খাওয়ারও রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। ভাত খাওয়া বন্ধ করার আগে চলুন জানি ভাতের কিছু উপকারী গুণ।

* ভাতের মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা সহজেই হজম হয়ে যায়। এই কারণে আজও পেট খারাপ হলে মাড় সহ রান্না করা বসা ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন।
* গ্লুটেন ফ্রি খাবারের খোঁজ করছেন? সাদা ভাত সেরা বিকল্প। ভাতের মধ্যে কোনও গ্লুটেন নেই। এটি পরিপাকতন্ত্রে পৌঁছে, খাবারের মলিকিউলগুলো ভেঙে ফেলে। এতে খাবার দ্রুত হজম হয়ে যায়।
* সকালে ভাত খেয়ে বেরোলে সারাদিন পেট ভর্তি থাকে। পাশাপাশি এই খাবার দেহে শক্তির সঞ্চার ঘটায়। অর্থাৎ, ভাত খেলে শরীর সহজে ক্লান্ত হবে না। এনার্জিতে ভরপুর থাকতে চাইলে ভাত খান।
* ভীষণ রোগা আপনি? কোনও কিছুতেই ওজন বাড়ছে না? ভাত খাওয়া শুরু করুন। ভাতের মধ্যে ক্যালোরি রয়েছে এবং এতে উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যা কাঙ্ক্ষিত ওজনে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
