ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জেনে নিন ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের ইতিহাস

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৫ এএম

ছোট-বড় সবার কাছে সমান জনপ্রিয় একটি খাবার হলো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। মুচমুচে আলুর এই ভাজা যার সামনেই এনে রাখুন না কেন, একটু পরেই দেখবেন পাত্র খালি পড়ে আছে। বার্গারে, পিৎজার অনুষঙ্গ হিসেবে তো বটেই শুধু ফ্রেঞ্চ ফ্রাইও চোখের নিমিষে সাবাড় করে ফেলা যায়। স্পেশাল এই ফাস্টফুডটির জন্য পালন করা হয় জাতীয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিবস। এই বিশেষ দিনে চলুন জেনে নেই এর সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য।

ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কথাটির সঙ্গে ফ্রান্স জড়িয়ে থাকলেও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই প্রথম প্রচলন হয়েছিল উত্তর বেলজিয়ামের মস ভ্যালির কাছে একটি গ্রামে। ওই গ্রামের মানুষ নদী থেকে মাছ ধরে ভেজে খেতো। কিন্তু শীতকালে নদীগুলি বরফে পরিণত হওয়ায় মাছ ধরা সম্ভব হতো না। অতিরিক্ত শীতে তাই উত্তর বেলজিয়ামের ওই গ্রামের মানুষ পেট ভরানোর জন্য ছোট ছোট মাছের আকারে আলু ভেজে খাওয়া শুরু করল। তখন থেকেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়ার প্রচলন শুরু হল সারা বিশ্বে।

তবে খাবারটির সঙ্গে ফ্রান্সেরও একটি ইতিহাস জড়িত রয়েছে। জানা যায়, ১৭ শতকের দিকে ফরাসি বিপ্লবের সময় সৈন্যদের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে দেওয়া হতো। ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের বিখ্যাত প্যারিসিয়ান সেতুর নাম অনুসারে এই খাবারটির নাম রাখা হয়েছিল ফ্রাইটস পন্ট নিউফ। এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকান আর্মিরা যখন এই খাবারটির কথা জানতে পারেন, তখন তাঁরা ভীষণ খুশি হয়। আর তখনই প্রথমবারের মতো কেচাপ, মেয়োনিজ এবং ভিনিগার দিয়ে এই খাবারটি খেয়েছিলেন তাঁরা। তখন থেকেই এর নাম হয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।

আর আজ পুরো বিশ্বে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভীষণ জনপ্রিয় এই খাবার নিয়ে বেলজিয়ামে একটি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মিউজিয়ামও রয়েছে। এই মিউজিয়ামে প্রতি বছর ১৩ জুলাই পালন করা হয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিবস।

বাড়িতেই হোক কিংবা ফুড শপের ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মুচমুচে আলু দিয়ে আপনিও চাইলে সেলিব্রেট করতে পারেন এ দিনটি। তথ্যসূত্র:হিন্দুস্তান টাইমস

AHA/FI
আরও পড়ুন