ঘর সাজাতে কে না ভালোবাসেন। ঘর সাজানোর অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে আসবাবপত্র। খুব শখ করে, ঘরের আয়তন, বাজেট, রুচি, অন্যান্য আসবাবেব ধরন সবদিক বিবেচনা করে আমরা একটি আসবাব কিনে থাকি। ঠিকমতো এ কাজটি করতে না পারলে ঘরের পরিপূর্ণ সাজে অপূর্ণতা থেকে যায়। আসবাবপত্রের ম্যাটেরিয়াল হিসেবে সবসময়ই এগিয়ে থাকে কাঠ। কাঠের আসবাবের চাহিদা শেষ হবার নয়। তবে শখ করে শুধু কিনলে হবে না, কাঠের আসবাবটির সঠিক যত্নেরও প্রয়োজন আছে।
আসবাবের যত্ন বলতে শুধু নিয়মিতভাবে আসবাব পরিষ্কার করা বা এর ওপরে পড়া ধুলোবালি সাফ করা বোঝায় না। জেনে নিন আসবাবপত্র যত্নের কিছু কৌশলের কথা।

*কাঠের আসবাবের একটি বড় শত্রু হিসেবে দেখা দেয় নানা রকম পোকামাকড়। যেমন- কাঠকাটুনি বা ঘুণপোকার উপদ্রব। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে কাঠের আসবাবের পরিমাণ বেশি তাদের এ সমস্যায় পড়তে হয় প্রায়ই। কাঠের আসবাবকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাতে হালকা নিমের তেল স্প্রে করতে পারেন।
*ঘরের যে অংশটিতে রোদ পড়ে সেখানে কখনো কাঠের আসবাব রাখবেন না। এতে পলিশ এর রং হালকা হয়ে যাওয়া বা কাঠে ফাটল ধরার মতো নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সরাসরি রোদ আসে এমন জায়গায় আসবাব রাখবেন না। প্রয়োজনে জানালায় ভারী পর্দা ব্যবহার করুন।
*ডাইনিং টেবিল হোক কিংবা বসার ঘরের সেন্টার টেবিল, কখনই এগুলোতে সরাসরি গরম জিনিস রাখবেন না। টেবিল এর ওপর কোনো ক্লথ বা কাপড় না থাকলে কমপক্ষে একটি কাগজ বা কোস্টার বিছিয়ে তার ওপর গরম জিনিস রাখুন।

*পানির গ্লাস বা তরল কোনো কিছু রাখতেও একই ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করুন।কাঠের ওপর প্রায়শই গোল রিংয়ের মতো দাগ পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমে দাগ পড়া স্থানটি ব্লটিং পেপার দিয়ে চেপে ধরুন। তার পর ব্লটিং পেপার সরিয়ে অলিভ অয়েল বা মেয়নেজ দিয়ে দাগের ওপর ঘষে শুকনো করে মুছে নিন।
*কাঠের আসবাবের ওপর গরম কিছু রাখার কারণে রং নষ্ট হয়ে গেলে নরম কাপড়ে কর্পূর বা স্পিরিট নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানটিতে ঘষে দাগ তুলে ফেলুন।
*কাঠের আসবাব বহুদিন পর পর বার্নিশ না করিয়ে দুই-এক বছর পর একবার করে বার্নিশ করার চেষ্টা করুন। এ ক্ষেত্রে পুরোনো বার্নিশ এর ওপর নতুন প্রলেপ না দিয়ে পুরোনো বার্নিশ পুরোপুরি তুলে ফেলে বার্নিশ এর নতুন আস্তরণ দিন।
