কর্মক্ষেত্রে একঘেয়েমি আমাদের প্রোডাক্টিভিটি, ক্রিয়েটিভিটি এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। একই ধরনের কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করার ফলে মনোযোগ কমে যায়, শক্তি ক্ষয় হয় এবং দিনটি দীর্ঘ মনে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ছোট ছোট পরিবর্তন ও কার্যকর কৌশল ব্যবহার করে একঘেয়েমি কমানো সম্ভব।
কিছু পরিবর্তন আনুন
অফিস ডেস্কে ছোটখাটো পরিবর্তন আনা মনকে সতেজ রাখে। ডেস্কে একটি ছোট গাছ, রঙিন কলম বা অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখলে কাজের একঘেয়েমি অনেকটা কমে। মস্তিষ্ক বৈচিত্র পছন্দ করে, তাই এই ধরনের পরিবর্তন মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
ছোট ছোট চ্যালেঞ্জ নিন
নিজের কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করা সময়কে খেলাধুলার মতো করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, আধা ঘণ্টার মধ্যে কোনো কাজের অর্ধেক সম্পন্ন করার লক্ষ্য রাখা। সময়ের আগে কাজ শেষ করা মানে ‘জয়ী’ হওয়া। এভাবে কাজকে মজার চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা একঘেয়েমি কমাতে সাহায্য করে।
খানিক বিরতি নিন
দৈনন্দিন কাজের মধ্যে ছোট বিরতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ডেস্কেই কিছু স্ট্রেচ করা, অফিসের চারপাশে হাঁটাহাঁটি অথবা মিনিট দশেক ব্যায়াম মনকে সতেজ রাখে। প্রতি এক থেকে দেড় ঘণ্টা অন্তর এই ধরনের বিরতি কাজের একঘেয়েমি কাটাতে সহায়ক।
নতুন কিছু শিখুন
কর্মক্ষেত্রে বিরক্তিকর মুহূর্তগুলোকে কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু শেখা যেতে পারে। কাজ সম্পর্কিত তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়া, পডকাস্ট শোনা বা ডকুমেন্টারি দেখা মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখে এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করে। নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে একঘেয়েমি দূর হয়ে মনোযোগ ও উদ্দীপনা বজায় থাকে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করান, ছোট পরিবর্তন, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ, নিয়মিত বিরতি এবং নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে অফিসের কাজকে আরও আনন্দদায়ক ও কার্যকর করা সম্ভব।
কিডনি সুস্থ রাখে যেসব পানীয় 


কেমন কাটবে দিনটি, রাশিফলে জেনে নিন