অভিভাবকদের থেকে যে কথাটি প্রায় শুনতে হয় তা হলো- ‘বাচ্চা পড়তে চায় না’। অধিকাংশ শিশুদের পড়াশোনার প্রতি অনীহা কাজ করে। দুষ্টু এবং চঞ্চল প্রকৃতির শিশুদের পড়তে বসানো তো আরও মুশকিল। বই খাতার গণ্ডির ভেতরে শিশুদের আটকে রাখতে চাইলেও বাধাধরা নিয়ম তাদের পছন্দ হবে না- এটাই স্বাভাবিক। তবে পড়াশোনা তো করতেই হবে। তারা যেন এই পড়াশোনাকে বিরক্তিকর না ভেবে আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করে, সে ব্যাপারে কিছু ট্রিকস জেনে নিন।
অপছদের কারণ বুঝুন: গল্পচ্ছলে জানার চেষ্টা করুন, কেন আপনার সন্তান পড়াশোনা অপছন্দ করে? কোন বিষয়টি তার কাছে কঠিন বলে মনে হয় তার খোঁজ নিন। সন্তানের কাছ থেকে কিছু শেখার অভিনয় করে আপনি মাঝে মাঝে ছাত্র হয়ে যান। তাদেরকে শিক্ষক হতে বলুন। আপনাকে পড়ানোর মাধ্যমে তাদের পড়া নির্ভুল হবে।
একটানা পড়া বিরক্তিকর: শিশুরা পড়তে না চাইলে বই নিয়ে তাদের একটানা বসিয়ে রাখবেন না। পড়ার মাঝে কিছু সময় বিরতি দিন। তাদের পড়া শিখানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইউটিউবে বিভিন্ন ছবি বা ভিডিও দেখাতে পারেন।

স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে: পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে আসলে শিশুদের পড়ার চাপ বেড়ে যায়। সে সময়টাতে আপনার সন্তানের কম পড়া অধ্যায়গুলো দিনের বেশি সময়ে রেখে, যেগুলো ভালোভাবে পড়া আছে সে অধ্যায়গুলো বাকি সময়টাতে রাখুন। শিশুদের পড়ার রুটিন মেনে চলার জন্য আপনার সহযোগিতা এবং সন্তানের পড়া নিয়ে আপনার ব্যস্ততা প্রয়োজন। মনে রাখবেন, শিশুরা অণুকরণপ্রিয়। তারা আপনাকে যা করতে দেখবে, তাই শিখবে।
সন্তানকে বেড়াতে নিয়ে যান: পড়শোনার জগত থেকে বের হয়ে আপনার সন্তানকে নিয়ে সপ্তাহের যে কোনো একটি দিন ঘুরতে বের হোন। স্কুলে শেখানো বিষয়টি বুঝানোর জন্য বাস্তব জিনিসের সঙ্গে তাদের পরিচিত হতে সহায়তা করুন।
পড়ার সময়টাকে আনন্দময় করে তুলুন: সন্তান পড়াশোনায় মনোযোগী না হলে তাদের বকা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। জোর না করে তাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন। পড়া শেষ হলে প্রিয় খেলা বা কার্টুন দেখানোর আশ্বাস করুন।
স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন: আপনার সন্তান স্কুলের পড়া ঠিকমত পড়ছে কি না, সে ব্যাপারে নজর রাখুন। তারা যেন আজকের পড়া কালকের জন্য ফেলে না রাখে সে ব্যাপারে তৎপর থাকুন। আর এজন্য নিজের যতো ব্যস্ততাই থাক, স্কুল বা ক্লাশ টিচারের কাছ থেকে সন্তানের অগ্রগতি সম্পর্কে খবরাখবর রাখতে চেষ্টা করুন।
