শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে সারা দেশে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। শরতের নীল আকাশ, ভোরে ঝরে পড়া শিউলি ফুল আর নদীর ধারের কাশফুলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পূজার আনন্দ। মহালয়া থেকে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মণ্ডপে পূজার আনন্দে ভরে ওঠে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবন।
এই আনন্দঘন সময়ে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন, ঘোরাঘুরি ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে মিলনমেলার পাশাপাশি বিশেষ সাজগোজের বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে চলমান গরমের কারণে আরামদায়ক পোশাক ও স্বস্তিদায়ক সাজকেই প্রাধান্য দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা।
সকাল
পূজার দিনের সকালে সালোয়ার-কামিজ কিংবা হালকা পোশাক বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে হালকা মেকআপ ও সহজ চুল বাঁধার ধরন- যেমন পনিটেইল, খোঁপা বা বেণি- আরামদায়ক হবে। শারদীয় আবহের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চুলে ফুল গুঁজে নেওয়াও যেতে পারে।
দুপুর
দুপুরের গরমে সুতির শাড়ি বা পোশাক সবচেয়ে উপযুক্ত। এর সঙ্গে মানানসই হালকা মেকআপ ও হালকা রঙের লিপস্টিক সাজে এনে দেবে সতেজতা। এ সময় খোঁপায় ফুল ব্যবহার করলে শারদীয় আবহ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ফ্যাশন পরামর্শকরা।
রাত
রাতে চাইলে জমকালো সাজে সেজে ওঠা যায়। সিল্ক, কাতান বা বেনারসি শাড়ি কিংবা গাউন থ্রি-পিস হতে পারে রাতের পোশাকের সেরা পছন্দ। মেকআপে চোখকে গুরুত্ব দিয়ে ভারী সাজ- কাজল, মাশকারা, আইলাইনার কিংবা স্মোকি লুক-ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চোখের সাজ ভারী হলে ঠোঁটে হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে হবে। গালে হালকা গোলাপি ব্লাশন মানাবে।

রাতে সূর্যের তাপ না থাকায় চুল খোলা রাখা যেতে পারে। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে চুলে ফুল, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি ও মানানসই গয়না পূর্ণতা দেবে সাজে।
যেসব অভ্যাস আপনাকে পিছিয়ে দিচ্ছে


