শীত আসার আগমুহূর্তে আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তনে বেড়েছে সর্দি, ফ্লু ও জ্বরের প্রকোপ। দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেকেই ভাইরাল ইনফেকশন, সাইনাস সমস্যা ও মৌসুমী অ্যালার্জিতে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আবহাওয়া পরিবর্তনে স্বাস্থ্যঝুঁকি
চিকিৎসকদের মতে, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বায়ুচাপের আকস্মিক পরিবর্তন শরীরকে চাপে ফেলে। ঠান্ডা বাতাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে ফ্লু ও সর্দিজ্বরের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে, গরম ও আর্দ্র পরিবেশে পানিশূন্যতা ও ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া, আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সাইনাসের সমস্যাও বেড়ে যায়। ঠান্ডা বাতাসে নাকের পথ শুকিয়ে যায় এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় শ্লেষ্মা জমে সাইনাসে চাপ সৃষ্টি করে। এতে মাথাব্যথা ও মুখে ব্যথা হতে পারে।
পরিবর্তিত আবহাওয়ায় যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে
- সর্দি, কাশি, ফ্লু ও ভাইরাস সংক্রমণ
- পরাগ ও ধুলাবালুজনিত মৌসুমী অ্যালার্জি
- হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা
- জয়েন্টের ব্যথা ও আর্থ্রাইটিস
- ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হওয়া বা একজিমা, আর্দ্র অবস্থায় ছত্রাক সংক্রমণ
সুস্থ থাকার জন্য যা করবেন
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী-
- যথাযথ পোশাক পরুন: তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে স্তরযুক্ত পোশাক ব্যবহার করুন।
- হাইড্রেটেড থাকুন: ঠান্ডা আবহাওয়াতেও প্রচুর পানি পান করুন।
- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: ঘন ঘন হাত ধোয়া ও সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
- সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন: ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে সুরক্ষা দেয়।
- রোদে বসার অভ্যাস করুন: ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: শরীরচর্চা রক্ত সঞ্চালন ও প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখুন: বিশ্রাম ও মানসিক ভারসাম্য শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়ক।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামান্য সচেতনতা ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনলেই আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত অসুস্থতা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
শীতকালে এসির যত্নে করণীয়
প্রন সাসলিক তৈরির সহজ রেসিপি