কেবল সকাল এবং বিকেলে চা খাওয়ার রীতিমত অভ্যাসের কারণে দিনের দুই বেলাতেই আমরা চা পান করি। কেউ রঙ চা, কেউ দুধ চা, কেউ আদা চা, আবার কেউ বা ওষধি চা হিসেবে তুলসী চা পছন্দ করি। তবে এর মধ্যে অ্যামিনো অ্যাসিড এল- থেনাইন সমৃদ্ধ চা পানে মেজাজ ফুরফুরে থাকে।
সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন ভেষজ চা পান করলে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমে। এমনকি ঘুমের মান উন্নত করে। স্নায়ুত্রন্ত্রকে শিথিল করে। চা পানে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসেলের মাত্রা অনেকাংশে কমে। ফলে হতাশা এবং বিষণ্ণতা আপনাকে সহজে গ্রাস করতে পারে না।

চা’তে প্রাকৃতিকভাবেই অ্যান্টি-ইনফ্লামমেটরি যৌগ রয়েছে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল যৌগ রয়েছে। তবে ভেষজ উপাদানে তৈরি চা পানে তুলনামূলক বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। ভেষজ উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। মানসিক চাপের প্রভাব কমাতে কয়েকটি চা’র ব্যাপারে জেনে নিন।
গোল্ডেন-ক্যামোমাইল চা: গোল্ডেন-ক্যামোমাইল ভেষজ চা’তে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামমেটরি উপাদান পাওয়া যায়। আপনি চাইলে গোল্ডেন ক্যামোমাইল টি ব্যাগ কিনতে পারেন। এই চায়ের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য, এর প্রাকৃতিক স্বাদে আপনার শরীরে প্রশান্তি বিরাজ করে। মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতা কমে। একটি কথা মাথায় রাখবেন, এই চা বানানোর ক্ষেত্রে চিনি ব্যবহার না করাই ভালো। চিনি ক্যামোমাইল চা’য়ের স্বাদ কমিয়ে দেয়। স্বাদের ভিন্নতা আনতে ক্যামোমাইল চা’তে মধু যোগ করুন।

পুদিনা পাতার চা: পুদিনা পাতার চা’তে দুই ধরণের টুইস্ট রয়েছে। প্রথমত, পুদিনা পাতার চা পান করলে আপনি অন্য রকম এক সতেজতা পাবেন। এটি ক্যাফিন মুক্ত। দ্বিতীয়ত, এটি মাথাব্যথা কমায়। হজমে সহায়তা করে। ভেষজ উপাদানের মধ্যে পুদিনা পাতার চা খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন। তবে পুদিনা পাতা না থাকলে অর্গানিক মিন্ট টি ব্যাগ ক্রয় করুন।

গ্রীন টি: উপকারী পলিফেনল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রীন টির গুণের শেষ নেই। গ্রীন টি দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। হার্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। গ্রীন টি ওজন কমায় এবং ক্যান্সারের কোষগুলো মেরে ফেলতে সক্ষম। এ চা পানে ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল কমে।
