একটি দিন সুন্দর করতে হাসির কোনো বিকল্প নেই। কখনো আমরা নিজে থেকে হাসি, কখনো অন্যের হাসি দেখে হাসি, আবার কখনো আনন্দে হাসি।
রয়.টি বেনেট বলেছেন, হাসি আপনাকে সঠিক পথে রাখে, হাসি বিশ্বকে একটি সুন্দর জায়গা করে তোলে। যখন আপনি আপনার হাসি হারিয়ে ফেলবেন,আপনি জীবনের পথটি বিশৃঙ্খলার পথে হারাবেন।

জন লিলি বলেছেন, যে মন খুলে হাসতে পারে না,সেই পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী ব্যক্তি । মাদার তেরেসা বলেছেন, সাধারণ একটা হাসি কী করতে পারে, তা আমরা জানিই না।
হ্যাঁ, হাসির ক্ষমতা যে কতটা সুদূরপ্রসারী, তা যেন আমরা আসলেই জানি না। জানলে এবং মন খুলে হাসতে পারলে জীবনের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। একটা মিষ্টি হাসি একলহমায় পৃথিবীর জটিলতম সমস্যাটিরও সমাধান করে দিতে পারে। যারা হাসতে জানেন, তারা জীবনের সব দুঃখ-বেদনাকে তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারেন। জীবনকে তারিয়ে উপভোগ করার জন্য হাসি এক অমোঘ অস্ত্র।
কালজয়ী ধ্রুপদি অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন যেমন বলেছেন, তুমি বুঝতে পারবে তোমার জীবন সার্থক,যদি তুমি শুধু হাসতে পারো।
হাসির স্বাস্থ্যগত উপকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত। হাসার ফলে দেহে হ্যাপি হরমোন এন্ডোরফিন নির্গত হয়। হাসি মানসিক চাপ কমায়, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। হাসিকে বলা হয় ‘প্রাকৃতিক ব্যথানাশক’। হাসি যে কেবল মুহূর্তকেই আনন্দময় করে তোলে, তা নয়। এর রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব। দীর্ঘ জীবনপ্রাপ্তিতে হাসির ভূমিকা রয়েছে।
আজ ১৫ জুন, হাসির শক্তি দিবস (স্মাইল পাওয়ার ডে)। আমেরিকায় এটি পালিত হয়। তবে দিনটি কবে, কীভাবে শুরু হয়েছিল, তা জানা যায় না। তাতে কি! দুঃখ-বেদনা, অপ্রাপ্তি-হতাশা—সব ভুলে অন্তত একটা দিন হেসে হেসে কাটিয়ে দিলে তো মন্দ হয় না। শেষে আরেকটি তথ্য জানিয়ে রাখি, ‘বিশ্ব হাসি দিবস’ প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার।
