জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের আগে সমান প্রতিযোগিতার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। তার দাবি, বিভিন্ন স্থানে অবৈধ অস্ত্রধারীরা সক্রিয় রয়েছে এবং তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। প্রচার-প্রচারণা চলাকালে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের মধ্যে হামলার ঘটনাও বাড়ছে। নারী কর্মীরাও এর শিকার হচ্ছেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার জানান, তফসিল ঘোষণার বিষয়ে কমিশনের নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত জানতে এবং নির্বাচনপূর্ব নানা বিষয়ে উদ্বেগ তুলে ধরতেই তারা ইসিতে যান। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার নিয়োগ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার-সংক্রান্ত ব্যবস্থা এবং প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়ার বিষয়েও তারা মত দেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছি। কমিশন বলেছে, খরচ অনেক বেশি-কিন্তু আমাদের মতে সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে ব্যয়ের হিসাব বড় বিষয় নয়।’
জামায়াত নেতার অভিযোগ, বিভিন্ন স্থানে তাদের কর্মীরা প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন। তফসিল ঘোষণার পর এসব পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে-তা নিয়েও আলোচনায় উঠে এসেছে।
পরওয়ার আরও বলেন, ‘ইসি বলেছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তবে সবার জন্য সমান সুযোগ এখনো নিশ্চিত হয়নি। আমরা কিছু নির্দিষ্ট প্রশাসনিক অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন, প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।’
দলের মালিকানায় কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নেই দাবি করে তিনি বলেন, পক্ষপাত এড়াতে কমিশন এমন কাউকে নিয়োগ দেবে না, যারা কোনো দলের ঘনিষ্ঠ।
সবশেষে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমরা আশাবাদী থাকতে চাই। জাতির প্রত্যাশা- একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। কমিশনও শপথ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
