গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতেই হবে নির্বাচনের মাধ্যমে, এটা প্রথম ধাপ। নির্বাচন হলো প্রথম সংস্কার, এটা দিয়ে শুরু করতে হবে সংস্কার এবং গণতন্ত্রের আন্দোলন। যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা, সেটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে আগামী দিনে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের কথা বলি, আন্দোলন একদিনে হয়নি। এ আন্দোলনে গত ১৫-১৬ বছর কত লোকের ত্যাগ স্বীকার, সেটা অনেকে ভুলে যায়। আমরা শুধু সাম্প্রতিক আন্দোলনের কথা বলি।’
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই লোকগুলো গত ১৬ বছর যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ফ্যাসিস্টবিরোধী-স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন। তারা হোয়াইট হাউসের সামনে, ক্যাপিটাল হিলে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়েছেন। তার সামনে গিয়ে প্রতিবাদ করেছেন, তার সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়েছেন।
আমীর খসরু বলেন, দেশে এদের সবার আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। এদের অনেকে ব্যবসা হারিয়েছেন, চাকরি হারিয়েছেন। এদের পরিবারের অনেক লোক জীবনও দিয়েছেন।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘এই লোকগুলোকে বাদ দিয়ে আন্দোলন হয়নি। এরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। যার কারণে এদের পরিবারকে বাংলাদেশে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই লোকগুলো ১৬ বছর দেশে আসতে পারেননি। তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনকে দেখতে পাননি।’
সংস্কার পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে আমরা বিদায় নেব: আদিল
সংস্কার কমিশনে ২২ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দিল মুক্ত গণমাধ্যম মঞ্চ