রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমপ্লেক্সে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘বিয়ার সম্মেলন’ এবং ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫’। বাংলাদেশের প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় প্রস্তুত করতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের এই বৃহৎ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এজ প্রকল্প এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)-এর যৌথ উদ্যোগে এবং বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মেলনের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, সরকার, সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমিয়া এবং প্রবাসী মেধাবীদের সমন্বয়ে এ আয়োজন দেশের ইতিহাসে প্রথম। আমরা জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর নীতিমালার খসড়া ইতোমধ্যে প্রস্তুত করেছি এবং খুব শিগগিরই তা চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি জানান, সেমিকন্ডাক্টরভিত্তিক পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারকদের জন্য ৫ থেকে ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনার প্রস্তাব সরকারের উচ্চপর্যায়ে তুলে ধরা হয়েছে। তার আশা, মাত্র ২০ হাজার দক্ষ জনবল গড়ে তোলার মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর খাত থেকে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় অর্জন করতে পারবে।
সচিব জানান, সেমিনারে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল– বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও এনসিপির প্রতিনিধিরাও বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন।
সম্মেলনের আহ্বায়ক এবং পাড্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মোস্তফা হোসাইন বলেন, জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে এমন আয়োজন আমাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শেখায়। ‘বাংলাদেশ অ্যাজ এ নেশন অব ইনোভেশন’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বায়োটেকনোলজি, ইলেকট্রনিক্স এবং রোবটিক্সের (বেয়ার) সম্ভাবনাকে নতুন করে উন্মোচন করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলন শুধু প্রযুক্তি বিষয়ক আলোচনা নয়, বরং এটি শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে একটি শক্তিশালী সেতুবন্ধ তৈরি করবে, যা ভবিষ্যতের জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বমানের টেক হাব হিসেবে আত্মপ্রকাশের পথ সুগম করবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিয়ার সামিট এবং সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়ামে প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ স্থানীয় দেশিবিদেশি গবেষক, উদ্ভাবক, নীতিনির্ধারক ও বিনিয়োগকারীরা অংশ নেবেন। সম্মেলনে একাধিক টেকনিক্যাল সেশন, প্যানেল আলোচনা এবং উদ্ভাবনী প্রদর্শনী করা হবে।
