আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজটি যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নতুন আত্মবিশ্বাস এনে দিল। ইনিংস ব্যবধানে দাপুটে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করা দল দ্বিতীয় ম্যাচেও ২১৭ রানের ব্যবধানে জিতে প্রমাণ করেছে নিজেদের শক্তি, পরিণতি ও ধারাবাহিকতা। এই ধারাবাহিকতার কেন্দ্রে ছিলেন কয়েকজন ক্রিকেটার, যারা শুধু ম্যাচ বা সিরিজ নয়, নিজেদের ক্যারিয়ারেও উল্লেখযোগ্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। আর তাই প্রভাব স্পষ্ট দেখা গেছে আইসিসির সদ্য প্রকাশিত টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও।
মুশফিকুর রহিমের ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট হয়ে উঠেছিল বর্ণিল। অভিজ্ঞতার সঙ্গে দায়িত্ববোধ মিলিয়ে তিনি তুলে নেন এক দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ইনিংসেও থাকেন অপরাজিত। মাইলফলকের এই ম্যাচ তাকে র্যাঙ্কিংয়ে সাত ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে ব্যাটসম্যানদের তালিকার ৩০তম স্থানে।
তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন লিটন দাস, যিনি এক ইনিংসেই ১২৮ রানের ঝলমলে ব্যাটিং উপহার দেন। তার অগ্রগতি আট ধাপ, এখন তিনি অবস্থান করছেন ৩৭তম স্থানে। ধারাবাহিক রান করে নিজের অবস্থান মজবুত করেছেন মুমিনুল হকও, তিনি এখন ৪৬তম স্থানে। সবশেষেও ব্যাটসম্যানদের সিংহাসনে আগের মতোই রয়েছেন ইংল্যান্ডের জো রুট।
তাইজুল ইসলামের গল্পটি পুরোপুরি রেকর্ডভরা। মিরপুরে তিনি দুই ইনিংস মিলিয়ে আট উইকেট শিকার করে একদিকে বাংলাদেশকে বড় জয়ের পথে এগিয়ে দেন, অন্যদিকে দেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড নিজের করে নেন। পাশাপাশি দ্রুততম ২৫০ উইকেটের বিশ্ব রেকর্ড স্পর্শ করা তার অর্জনের মুকুটকে আরও ভারী করেছে।
অসাধারণ এই পারফরম্যান্স তাকে বোলারদের তালিকায় চার ধাপ এগিয়ে ১৫তম স্থানে পৌঁছে দিয়েছে। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এটাই এখন সর্বোচ্চ অবস্থান। তারই সতীর্থ তরুণ হাসান মুরাদ আলো কাড়েন ৪০ ধাপ লাফ দিয়ে এবং এসে দাঁড়ান ৫২ নম্বরে। খালেদ আহমেদও তিন উইকেট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন।
আইরিশ ব্যাটসম্যানদের দিক থেকেও অগ্রগতি দেখা গেছে। লর্কান টাকার অপরাজিত ৭৫ রান তাকে সাত ধাপ উঠে ৪৯তম স্থানে পৌঁছে দিয়েছে, আর কার্টিস ক্যাম্পার এগিয়েছেন আরও এগারো ধাপ।
অলরাউন্ডার বিভাগে আগের মতোই শীর্ষে ভারতের জাদেজা। তার ঠিক পেছনে উঠে এসেছেন ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস; আর বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ নেমেছেন তিন নম্বরে।
