ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

শেয়ারবাজারে কারসাজি 

সাকিবসহ ১৫ আসামির প্রতিবেদন দাখিল ২৬ নভেম্বর

আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম

শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ২৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও দুদক তা দাখিল করেনি। এজন্য বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির ও তানভীর নিজাম।

এর আগে, ১৭ জুন দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে সিরিজ ট্রানজেকশন, প্রতারণামূলক ট্রেডিং, জুয়া ও স্পেকুলেশনের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কৃত্রিমভাবে নির্দিষ্ট শেয়ারের দাম বৃদ্ধি করে কারসাজি করেছেন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হয়ে বিপুল অর্থ হারান।

এই পদ্ধতিতে মোট ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৩০৪ টাকা আত্মসাৎ করা হয়, যা আইনে ‘অপরাধলব্ধ অর্থ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত। এর মধ্যে আবুল খায়ের (হিরু) তার স্ত্রী কাজি সাদিয়া হাসানের সহায়তায় ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ১৮৫ টাকা উৎস গোপন করে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেছেন। এছাড়া তার নামে পরিচালিত ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মো. আবুল খায়ের কর্তৃক কারসাজিকৃত প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং সোনালী পেপারস লিমিটেডের শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করেছেন। এতে তিনি মার্কেট ম্যানিপুলেশনে সরাসরি সহায়তা করে ২ কোটি ৯৫ লাখ ২ হাজার ৯১৫ টাকা রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে শেয়ারবাজার থেকে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

MMS
আরও পড়ুন