ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বাংলাদেশি শাহানা হানিফ নিউইয়র্ক নগর কাউন্সিলের প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ী

আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, ০৩:৪৬ এএম

ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ‍ইয়র্ক নগর কাউন্সিলের প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী মায়া কর্নবার্গকে পরাজিত করেছেন।

গত মঙ্গলবার নির্বাচন শেষে নিউ‍ইয়র্ক নগরের বোর্ড অব ইলেকশন শাহানাকে বিজয়ী ঘোষণা করে। সাধারণত নিউইয়র্ক নগরে ডেমোক্রেট প্রার্থীরাই জয়লাভ করেন। আগামী ৪ নভেম্বর চূড়ান্ত নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনেও শাহানা হানিফ জয়লাভ করবেন বলে প্রত্যাশা তাঁর সমর্থকদের।

প্রাথমিক নির্বাচনে জয়ের পর শাহানা হানিফ বলেন, ‘কঠিন একটি নির্বাচনে আমার ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এই শহরকে সুন্দর করার জন্য তাঁরা মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছেন জোহানকে (ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী নির্বাচিত জোহরান মামদানি)। আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা সুন্দর একটি নিউইয়র্ক সিটির স্বপ্ন দেখি। আমি আমার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সামর্থ্য অনুযায়ী এবং চাইল্ড কেয়ার নিয়ে আগের মতোই কাজ করে যাব। আমি চেষ্টা করব, আর কোনো মানুষ যেন এই শহর ছাড়তে বাধ্য না হয়।’

নিউইয়র্ক নগর ৫১টি ডিস্ট্রিক্ট নিয়ে গঠিত। তার একটিতে জয়লাভ করেছেন শাহানা হানিফ। প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ের পর তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহানার জয় ব্রুকলিনের রাজনৈতিক চেতনায় একটি নতুন ঢেউ। এই নির্বাচনে ব্যাপক অর্থসংস্থানের বিপরীতে জয়লাভ করেছে তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ও ছোট ছোট দাতাদের ঐক্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা জনগণ।’

শাহানা হানিফের বাবা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, তাঁরা ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে নিউইয়র্কে আসেন। প্রথমে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে থাকতেন, পরে কেনসিংটনে চলে যান।

শাহানার জন্ম ব্রুকলিনে। তিনি কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান ও নারী অধিকার বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। সেখানেই তাঁর রাজনৈতিক চেতনার বীজ রোপিত হয়। ২০২১ সালে ২৯ বছর বয়সে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুসলিম নারী হিসেবে নিউইয়র্ক নগরের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

 

MMS
আরও পড়ুন