পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি। গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সেখানে তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও অনুমতি পাননি ইমরানের তিন বোন। উল্টো তাদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’ করে নিরাপত্তা বাহিনী।
এরপর বুধবার (২৬ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন চাউর হয়, ইমরান খানের নাকি মৃত্যু হয়েছে। ছড়িয়ে পড়া খবর আর পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক আচরণ ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।
অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে আদিয়ালা জেল প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, ইমরান খানকে কোথাও স্থানান্তর করা হয়নি। তিনি আদিয়ালা জেলেই রয়েছেন এবং শারীরিকভাবে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।
কারাগার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আদিয়ালা জেল থেকে তার স্থানান্তর সংক্রান্ত খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন এবং পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।’ খবর জিও নিউজের।
এর আগে ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দাবি করেছিল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আদিয়ালা জেল থেকে গোপনে অন্যত্র স্থানান্তর করার চেষ্টা চলছে।
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে সন্ত্রাসবাদ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে কারাগারে ইমরান সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে কারাগারে আগের তুলনায় বেশ আরামে আছেন।
তিনি মন্তব্য করেন, ‘ইমরানের জন্য যে খাবারের মেনু আসে—সেটি পাঁচ তারকা হোটেলেও পাওয়া যায় না।’
আসিফ দাবি করেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার কাছে টেলিভিশন রয়েছে এবং তিনি ইচ্ছেমতো যেকোনো চ্যানেল দেখতে পারেন। এমনকি ইমরান ব্যায়ামের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিও পাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন শাহবাজ শরিফ সরকারের এই প্রভাবশালী মন্ত্রী।
এসময় নিজের কারাবাসের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে আসিফ যোগ করেন, ‘আমরা ঠান্ডা মেঝেতে ঘুমাতাম, কারাগারের খাবার খেতাম। জানুয়ারিতে (শীতকালে) মাত্র দুইটা কম্বল ছিল, গরম পানিও ছিল না।’
