বিয়ে মানেই কি শুধুই ফুলশয্যা আর হানিমুন? না ভাই, এবার যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের গবেষকরা বলছেন বিয়ে করলে মানুষ হয় আরও বেশি সুস্থ, শান্ত ও সুখী। বৈবাহিক সম্পর্ক শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান এবং সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি একসঙ্গে প্রায় ৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, বিবাহিতদের লাইফে রয়েছে বেশি মানসিক প্রশান্তি ও পরিপূর্ণতা।
গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিবাহিত অংশগ্রহণকারীরা পরিবারের কাছ থেকে বেশি মানসিক সহায়তা পান যা তাদের সুখ ও মানসিক স্বস্তিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের অবিবাহিত ব্যক্তিরা সামাজিক ও পারিবারিক চাপের মুখে থাকেন, যা তাদের সুখের মাত্রা কমিয়ে দেয়। অনেকে অবশ্য ব্যক্তিগত উপায়ে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে অনেকে বলেছেন যে, এই চাপ তাদের জীবনে মানসিক অশান্তি সৃষ্টি করে।
জাপানে সামাজিক প্রত্যাশা অনুযায়ী বিবাহিত জীবনকে এখনো মানদণ্ড হিসেবে দেখা হয়। গবেষকরা সতর্ক করেছেন, দীর্ঘ সময় এ ধরনের চাপ সহ্য করলে তা পরবর্তীতে একাকিত্ব বা আফসোসের কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অবিবাহিতরাও কিছু ক্ষেত্রে বিবাহিতদের মতোই সুফল পেতে পারেন, কিন্তু তারা এখনো সামাজিক স্বীকৃতি ও গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে পিছিয়ে।
গবেষণায় আরও বলা হয়, বিশেষ করে এশীয় সমাজে অবিবাহিত থাকা এখনো সামাজিকভাবে কম গ্রহণযোগ্য। ফলে অনেকেই মানসিক চাপ ও একাকিত্বে ভোগেন।
গবেষকরা মনে করেন, এসব সংস্কৃতিগত কারণেই বিয়ে এখনো অনেক সমাজে স্থিতি, নিরাপত্তা ও মানসিক প্রশান্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
তবে এই গবেষণা মনে করিয়ে দেয় বিয়ে শুধু সম্পর্ক নয়, এটি হতে পারে মানসিক শান্তির চাবিকাঠিও। তাই যারা বিয়ে করবো কি করবো না সেই দ্বিধায় আছেন, তারা একটু ভেবে দেখতেই পারেন।
চুল পড়ার ৪ কারণ জানালেন ডা. তাসনিম জারা
ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য রক্ষা করা কেন জরুরি
কম বয়সে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে মেনে চলুন ৪টি অভ্যাস