বান্দরবানে সড়কের ৪০ স্থানে ভাঙ্গন, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
বান্দরবানে লামা-সূয়ালক অভ্যন্তরীণ সড়কসহ গ্রামীণ সড়কগুলো সংস্কারের অভাবে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে সড়কগুলো দিয়ে বাধ্য হয়েই চলাচল করছে হাজার হাজার জনসাধারণ।
 
সড়কে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পার্বত্য জনপদের চাষিরা। 
 
সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে যেসব সড়ক ভাঙনের কবলে পড়েছে- লামা-সূয়ালক সড়ক, হলুদিয়া-ভাগ্যকুল সড়ক, বাঘমারা-মঞ্জয়পাড়া সড়ক, বানিয়াছড়া-গজালিয়া সড়ক, ইয়ায়ছা-ত্রিদিবা সড়ক, রুমা-মাওয়াপাড়া সড়ক, রোয়াংছড়ি-ব্যঙছড়ি সড়ক, কালাঘাটা-তারাছা সড়ক, খানসামা-বাঘমারা আন্তাপাড়া সড়ক, রুমা-মুন্নমপাড়া সড়ক, বটতলি-গ্যালেঙ্গা সড়ক, চাকঢালা-আশারতলি সড়ক, নাইক্ষ্যংছড়ি-তুমব্রু রেজু আমতলি ও রেজু মনজয় পাড়া সড়ক, কানাপাড়া সড়ক, তারাছা-গেজমনি পাড়া সড়ক, ক্যায়ামলং-চেমিরমুখ সড়ক।
 
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লামা-সূয়ালক সড়কের ৫টি স্থানে সড়ক ভেঙে পড়েছে। খুবই ঝুঁকিপূর্ণ একটি স্থানে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার উপায়ও নেই। রুমা-মাওয়াপাড়া সড়কের ৭টি এবং কালাঘাটা-তারাছা সড়কের ৫টি স্থানে, কানাপাড়া সড়কের দুটি স্থানে ভেঙে গেছে৷ তবে কয়েকটি স্থানে মারাত্মক ভাঙনে সড়কগুলো মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। 
 
স্থানীয় বাসিন্দার টংকাবতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাংয়ং ম্রো (প্রদীপ) বলেন, লামা-সূয়ালকসহ গ্রামীণ সড়কগুলো কম-বেশি সবখানেই ভেঙেছে। তবে লামা-সূয়ালক সড়কের দুটি স্থানে মারাত্মক ভাঙনে সড়কটিতে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কগুলো বর্ষার শুরুতেই ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সংস্কারের অভাবে সড়কগুলো জনসাধারণের জন্য মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করে জনভোগান্তি লাঘবের দাবি জানাচ্ছি।
 
লামা এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবু হানিফ বলেছেন, লামা-রুপসীপাড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন সড়ক। ওই সড়কের লামা বাজার থেকে চেয়ারম্যান পাড়া হয়ে কাটা পাহাড় পর্যন্ত সম্প্রতি অতিবর্ষণে পানি জমে এবং ভারী গাড়ি চলাচল করে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যান চলাচলসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া এলাকার জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যান চলাচলসহ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক করতে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। 
 
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবান জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তাসাউর বলেছেন, এবার ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ৭টি উপজেলায় ৪০টি স্থানে অভ্যন্তরীণ গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
জেলায় এলজিইডির ১২টি সড়কের ৪০টি স্থানে ভাঙ্গন হয়েছে, যার মধ্যে ২৯টি ভাঙ্গনের মেরামত ও সংস্কার জন্য ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সড়কগুলো দ্রুত মেরামতে ইতোমধ্যে বরাদ্দের বিপরীতে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। শীগ্রই সড়কগুলো সংস্কার কাজ শুরু হবে। এছাড়া নতুন নতুন সড়ক ভাঙ্গনের তালিকা করা হচ্ছে। আরো বরাদ্দ পেলে সড়কে সংস্কার কাজ করা হবে।
NJ
আরও পড়ুন