ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হাসিনা-কাদের-হাছান-নাছির-নওফেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম নিহতের ঘটনায় ১০৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পরিবার। 

মামলায় ওয়াসিমকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ ও সাবেক পররাষ্ট্র ড.হাসান মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন, সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও কাউন্সিলরসহ ১০৮ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে নিহত ওয়াসিমের মা জোসনা আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন  পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা।

ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, মুরাদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে কলেজছাত্র ওয়াসিম আকরাম নিহতের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ ১০৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রামে মুরাদপুর এলাকায় আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন ওয়াসিম আকরাম। তিনি চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও একই কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ওয়াসিম কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী শফিউল আলমের ছেলে। তারা দুই ভাই ও তিন বোন।

ওইদিন বিকেল ৩-৪টায় ওয়াসিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং ওইসময়ে তার ওপর আসামিদের নির্দেশে এবং তাদের মুহুর্মুহু বোমা বিস্ফোরণ ও লাঠিসোঠা, হকিস্টিক, কিরিচ এবং মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সমাবেশে আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে ওয়াসিম বুকে ও নাভীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

এছাড়াও অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, আবদুস ছবুর লিটন, এসরারুল হক এসরারুল, মোবারক আলী, হারুন অর রশীদ, মোরশেদুল আলম, নুর মোস্তফা টিনু, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আশরাফুল আলম, গিয়াস উদ্দিন, জহুরলাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, জিয়াউল হক সুমন, পুলক খাস্তগীর, নুরুল আলম মিয়া, মোহাম্মদ ওয়াসিম, আবদুস সালাম মাসুম, জাকারিয়া দস্তগীর, মো. ফিরোজ।

এছাড়াও মামলায় আসামি করা হয়েছে যুবলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি, মো. ইসমাইল, মো. দেলোয়ার, এন. এইচ. মিন্টু, মোহন ঘোষ, মো. আলী, ভূবন ঘোষ, আরহাম খান, ইসমাইল উদ্দিন লিটন, দৌলত খান, এনামুল হক মানিক, নুর মোহাম্মদ, মো. সোহেল, নেজাম উদ্দিন, মো. আমজাদ হোসেন, ইরফানুল আলম তুষার, ইব্রাহিম খলিল, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, নুর নবী সাহেদ, শহীদুল ইসলাম, সাগর দাস, জাহেদ হোসেন, জি. এম. তৌশিফ, সাদ্দাম হোসেন ইভান, দেবাশীষ পাল দেবু, মো. জাবেদ, মহিউদ্দিন, মো. জাফর, মো. আলী (সাহেদ), মহিম আজম, দিদারুল আলম, মো. ইলিয়াছ, মো. আলী, মো. ইসহাক, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, দিদারুল আলম মাসুম, মো. মাসুম, জিহান আলী খান, মহিউদ্দিন শাহ, মুজিবুর রহমান রাসেল, মোহাম্মদ রাশেদসহ আরও ১০৮ জনকে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে। 

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, গত ১৬ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে নিহত ওয়াসিম আকরাম পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুরের বারকোড রেস্টুরেন্টের সামনে ছিল। তখন ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী শক্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলন চলছিল। আন্দোলন চলাকালে আসামিদের প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে সারাদেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্রসস্ত্রসহ ব্যাপক ধ্বংসযোগ্য ও গণহত্যা করে।

AST
আরও পড়ুন