নগর বাউল জেমসের দেশ ও দেশের বাইরে ভক্তের সংখ্যা অগণিত। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘ফ্লাওয়ার ফেস্ট’-এর ‘গালা নাইট’ কনসার্টে গাইবেন তিনি। দর্শক-শ্রোতাদের উল্লাসে মাতাতে যাচ্ছেন এই রকতারকা। এ দিন সন্ধ্যায় গানে গানে উৎসব রঙিন করে তুলবেন জেমস।
এছাড়াও পারফর্ম করবেন সময়ের জনপ্রিয় আরও সাতটি ব্যান্ড। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকেই শুরু হবে কনসার্ট, চলবে রাত পর্যন্ত। এ কনসার্টে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড নগর বাউল ছাড়াও তীরন্দাজ, লালন, সোলস, আর্টসেল, শিরোনামহীন, আভোয়েড রাফা, আর্বোভাইরাস, উন্মাদসহ অনেক প্রসিদ্ধ ব্যান্ড দল পারফরম্যান্স করবেন।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে চট্টগ্রাম ফূ্ল উৎসবের 'গালা নাইট কনসার্টের' আয়োজন উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এসব তথ্য তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, চট্টগ্রাম নগরের ফৌজদারহাটে অবস্থিত ডিসি পার্কে আমরা ৪ জানুয়ারি থেকে ফুল উৎসবের যাত্রা শুরু করেছিলাম। এ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে 'গালা নাইট কনসার্টের' আয়োজন করতে যাচ্ছি। মাসব্যাপী এতো বড় কর্মযজ্ঞ আপনাদের এবং চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতার কারণে সফল ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যার জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
জেলা প্রশাসক বলেন, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ৪০ হাজার দর্শকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে আমরা ৩৫ হাজার দর্শক প্রবেশের ব্যবস্থা করছি। এরমধ্যে ১৫ হাজার মাঠে এবং ২০ হাজার গ্যালারিতে ব্যবস্থা থাকবে।
আমাদের ফ্রি কনসার্ট আয়োজনের চিন্তা ছিল, কিন্তু আমাদের মূল আকর্ষণ জেমস বলেছেন তিনি ফ্রি কনসার্ট করবেন না। তাই আমরা টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছি। মাঠের টিকিটের প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ৫০০ টাকা আর গ্যালারিতে ৩০০ টাকা রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে। প্রথমে আমাদের যারা লোকাল গায়কেরা আছেন তারা গান পরিবেশ করবেন। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন ব্র্যান্ড শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন। আমরা আশা করছি আমাদের মূল গায়ক জেমস ৯ টা বা সাড়ে ৯ টায় মঞ্চে উঠবেন।
'গালা নাইট কনসার্টে' নিরাপত্তার জন্য আমরা ১ হাজার পুলিশ সদস্য, ছাত্র প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। স্টেডিয়ামের ভেতরে আমরা কিছু স্টল ও মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা রাখবো। যাতে দর্শকদের কোন সমস্যা না হয়। এছাড়া কাজীর দেউড়ি মোড়ে একটি এলইডি স্কিনের ব্যবস্থা থাকবে। যাতে বাহিরের দর্শকরা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন।
