সুস্থ জীবনের পূর্বশর্ত সুস্থ ফুসফুস। ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা অত্যাবশ্যক। পাশাপাশি সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসেরও যত্ন চাই। তাই জানতে হবে কীভাবে ফুসফুসের যত্ন নিতে হবে।
অ্যাজমা, সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ), ফুসফুসের ক্যানসার, যক্ষ্মা এবং ফুসফুসের কিছু সংক্রমণ (যেমন নিউমোনিয়া) বিশ্বব্যাপী ফুসফুসের অন্যতম রোগ। এগুলোর প্রতিটিই প্রতিরোধযোগ্য।
বিশ্বব্যাপী ফুসফুসের রোগ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, করোনা অতিমারির পর এর প্রভাব পড়েছে আরও বিস্তৃত পরিসরে।
পৃথিবীজুড়ে এসব রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নেই, আছে বৈষম্য।
পৃথিবীর ২০০ মিলিয়ন মানুষ সিওপিডিতে আক্রান্ত, ২৬২ মিলিয়ন মানুষ ভুগছেন অ্যাজমায়। প্রতিবছর ২ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন ফুসফুসের ক্যানসারে।
নিউমোনিয়া ও অন্যান্য সংক্রমণে ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ প্রতিবছর মারা যান। গত এক দশকে যক্ষ্মায় মৃত্যুহারও বেড়েছে। তাই সচেতন হতে হবে এখনই।
ফুসফুস সুস্থ রাখতে করণীয়
- শ্বাসের ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন। ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তো বটেই, অন্যদের জন্যও এই ব্যায়াম উপকারী।
- নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তবে সাধ্যের অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম না করাই ভালো।
- সুষম খাদ্যাভ্যাস চাই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
- গাড়ি বা মোটরসাইকেলের ব্যবহার কমান। যতটা সম্ভব হাঁটুন। সাইকেল ও গণপরিবহন ব্যবহার করুন।
- মানসিক চাপ কমান। জীবনকে সহজভাবে নিন।
- সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় শিশুদের টিকা দিন।
- অ্যাজমা বা সিওপিডিতে আক্রান্ত ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে টিকা নিতে হবে।
মেনে চলবেন যেসব বিষয়
- ধূমপান ছাড়তেই হবে। ধূমপায়ী একাই ভুক্তভোগী নন। তাঁর আশপাশের মানুষও থাকেন ঝুঁকিতে।
- বাইরে গেলে মাস্ক পরুন।
- ঘরে কার্পেট বা মাদুর ব্যবহার করবেন না।
- কম্বল সুতি কাপড়ের কভারে জড়িয়ে নিন। লোমশ পোশাক ও খেলনা বর্জন করুন।
- মৌসুমি ফুলের রেণু ছড়ানোর সময় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখুন।
- তীব্র ঘ্রাণের সুগন্ধি বর্জনীয়।
- কাঠ, কয়লা, গোবর, পলিথিন, ময়লা ইত্যাদি পোড়ানো থেকে বিরত থাকুন।
- যেখানেই সম্ভব গাছ লাগান (বাড়ির অন্দরেও)।
- অ্যাজমা বা সিওপিডিতে আক্রান্ত ব্যক্তির কিছু ওষুধ সেবনে সমস্যা বাড়তে পারে। এসব এড়িয়ে চলতে হবে।
মাইগ্রেনের ব্যথা যেভাবে কমবে 