ঢাকা
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার স্মার্ট উপায়

আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম

ছোটবেলা থেকেই একটি প্রবাদ আমরা শুনে আসছি- ‘পড়াশোনা করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’। কিন্তু পড়তে বসলেই মনের মধ্যে ভিড় করে হাজারো চিন্তা, আর মনোযোগ যেন কোথায় উধাও হয়ে যায়! মনোযোগী না থাকলে সারাদিন ধরে পড়েও কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সহজ কৌশল অবলম্বন করে পড়ালেখায় মনোযোগ বাড়ানো সম্ভব। চলুন, জেনে নেওয়া যাক পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার কার্যকর উপায়।

মনোযোগ বাড়ানোর ১০টি কার্যকরী কৌশল-

মনস্থির করে বসুন

পড়তে বসার অন্তত পাঁচ মিনিট আগে থেকেই মনকে প্রস্তুত করুন। অমনোযোগীতা আনতে পারে এমন সব বিষয় মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু হাতের কাছেই রাখুন যাতে বারবার উঠতে না হয়। খুব বেশি দরকার না হলে ফোন বন্ধ করে রাখতে পারেন।

শিক্ষকতার অভ্যাস করুন

যে বিষয়টি আপনি পড়বেন, সেটা অন্য কাউকে শিক্ষা দিন, বিশেষ করে এমন কাউকে যে বিষয়টি সম্পর্কে জানেনা। শিক্ষকতা নিজের জ্ঞানকে সুদৃঢ় করার জন্য সবচেয়ে উত্তম উপায়। এটি আপনার নিজেরও চর্চা বজায় রাখবে।

ইন্দ্রিয়কে সক্রিয় করুন

একটি বিষয় ভালোভাবে মনে রাখার জন্য আপনার সব ইন্দ্রিয় সক্রিয় করুন। আপনি যে জ্ঞান আহরণ করছেন, সেটিকে আপনার চারপাশের কোনো কিছুর সঙ্গে সম্পর্কিত করার চেষ্টা করুন। চারপাশের জিনিসের সঙ্গে আহরণ করা জ্ঞান মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বিষয়টি আরও ভালোভাবে বোঝা যায়।

ধারণার মধ্যে সংযোগ স্থাপন

প্রত্যেকটি বিষয় এবং ধারণার মাঝে সংযোগ স্থাপন করতে শিখুন। একটি ধারণা আরেকটির সাথে যুক্ত করার মাধ্যমে আপনার নিজের জ্ঞানের পরিধি অনেক বাড়বে।

নতুন ধারণার সাথে পরিচিত ধারণার সংযোগ

যখনই কোনো নতুন বিষয় বা তথ্য সম্পর্কে জানবেন, তখন তা আপনার বর্তমানের পরিচিত কোনো জানা তথ্য বা ধারণার সঙ্গে সম্পর্কিত করার চেষ্টা করুন। এতে পরীক্ষার সময় সে নতুন তথ্য ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

মস্তিষ্কের উপর চাপ না দেওয়া

পরীক্ষার আগে একসাথে সব পড়তে গেলে মস্তিষ্কের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে। তাই সবসময় অল্প অল্প পড়ার মাঝে থাকুন। এতে আপনার উপর কোনো মানসিক চাপ থাকবে না এবং পরীক্ষার আগে শুধু রিভিশন দিলেই চলবে।

তথ্যের ধরন বুঝুন

পড়ার সময় প্রত্যেকটি তথ্যের ধরন বোঝার চেষ্টা করুন। এটি কি গাণিতিক তথ্য, ঐতিহাসিক তথ্য, নাকি কোনো ব্যক্তি বা দেশ সম্পর্কে তথ্য? ভালো করে বুঝে তারপর মুখস্থ করুন। না বুঝে মুখস্থ করলে তা বেশিক্ষণ মনে রাখা কঠিন।

সুদৃঢ় জ্ঞানের ভিত তৈরি

শুধু পুস্তকি বিদ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যান্য বিভিন্ন বই থেকে আহরিত জ্ঞানের সাথেও সম্পৃক্ত করুন। দেশ ও দেশের বাইরের অনেক লেখকের বই পড়ার অভ্যাস রাখুন। এটি জ্ঞানের ভিত্তি মজবুত ও শক্ত করে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

নিজস্ব রীতি অনুসরণ

যখন কোনো বিষয় পড়বেন, তখন নিজের একটি আলাদা রীতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন এবং বিষয়টির একটি ছবি আপনার মনের মধ্যে এঁকে নিন। এতে বিষয়টি আপনার খুব সহজেই মনে থাকবে।

নোট তৈরি এবং না বোঝা বিষয়ে মনোযোগী হওয়া

পড়ার মূল লক্ষ্য জ্ঞান আহরণ করা এবং পরীক্ষায় ভালো করা। যে বিষয়টি বুঝবেন না, তার পেছনে একটু বেশি মনোযোগী হন। প্রয়োজনে খাতায় লিখে, নোট তৈরি করে বোঝেন। কারণ না বুঝে মুখস্থ করে সেটা বেশিক্ষণ মনে রাখা সম্ভব নয়।

NB/FJ
আরও পড়ুন