সন্তানের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় হওয়া খুব জরুরি। নয়তো বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ ফাটল দেখা দেয়। বোঝাপড়ার সমস্যা হয়। এভাবে চলতে থাকলে সন্তান হতাশায় হাবুডুবু খায়। একসময় বিপথেও পা বাড়ায়।
তাই সমস্যা এতদূর গড়িয়ে যাওয়ার আগেই সাবধান হতে হবে। সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব নিজের সন্তানের সঙ্গে বন্ধন বাড়ানোর কাজে লেগে পড়তে হবে। এতে পারিবারিক সম্পর্ক মধুর হবে। সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ হবে। সন্তানের সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো হবে। সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর করতে জেনে নিন কিছু কৌশল-
নিজের কথা শেয়ার করুন: সন্তানকে নিজের সারাদিনের কর্মকাণ্ডের কথা বলুন। তাহলে সেও আপনাকে নিজের সারাদিনের সব ঘটনা একবারে ঠিক ঠিক ভাবে বলবে। তার কথা শোনার পর প্রয়োজন মনে হলে কিছু পরামর্শও দিতে পারেন। তাহলেই ধীরে ধীরে আপনার সঙ্গে তার বন্ধন আরও কয়েকগুণ পোক্ত হয়ে উঠবে।
খেলাধুলা করুন: বাচ্চারা খেলতে ভালোবাসে। এটাই তাদের মনোরঞ্জনের অন্যতম উপায়। তাই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে কিছু সময় খেলুন। তার পছন্দমতো খেলাই আপনাকে খেলতে হবে। আর যেই যেই দিন আপনার ছুটি থাকবে, সেই সেই দিনগুলিতে অবশ্যই তাকে নিয়ে মাঠে যান। সেখানে সমবয়সীদের সঙ্গে তাকে মিশিয়ে দিন। কিংবা আপনিই তার সঙ্গে খেলুন।

সন্তানের কাছেও পরামর্শ চান: সে ছোট। সেই কারণে তার সব কথা ফেলে দেবেন না। তাতে সন্তানের সঙ্গে আপনাদের দূরত্ব বাড়বে। তাই এই বদভ্যাস শুধরে নিন। বরং চেষ্টা করুন ছোটখাট বিষয়ে তার পরামর্শ নেওয়ার। এতে সে বুঝবে তার মতামতও আপনাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ভুলের জন্য শাস্তি নয়: সন্তান ভুল করবে, এটা স্বাভাবিক। ভুল হলে তাকে কড়া শাসন করবেন না। এতে সে বিগড়ে যেতে পারে, মানসিকভাবে প্রচণ্ড আঘাত পেতে পারে। বরং তাকে ভুল শুধরে নেওয়ার কৌশল শিখিয়ে দিন। একবার না পারলে, বারবার চেষ্টা করতে বলুন।
এক সঙ্গে পড়াশোনা: ছোট থেকে আপনার সন্তানকে বই পড়ায় উৎসাহিত করুন। কেবল বই-ই পারে তার ভাবনার জগৎ খুলে দিতে। তাই শৈশব থেকে সন্তানকে নিয়ে লাইব্রেরিতে যান। ভালো বই কিনুন। নিজে বই পড়ুন, সন্তানকেও উৎসাহিত করুন। মাঝে মাঝে বই পড়ে সে কী শিখেছে, তার পরীক্ষা নিন। এভাবে আপনার সঙ্গে সন্তানের সখ্য বাড়বে।

এক টেবিলে খাওয়া দাওয়া: সন্তানের সঙ্গে এক টেবিলে বসে খাবার খান। এতে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে। খাবার খেতে খেতে সন্তানকে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন মজাদার ঘটনা শোনাতে পারেন। সাধারণ জ্ঞান-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর জানাতে পারেন। তবে এ সময় মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিকস ডিভাইস দূরে রাখুন।
