অসম বয়সের সম্পর্ক আমাদের সমাজে স্বীকৃত। সেক্ষেত্রে পুরুষকে হতে হবে বড়, আর মেয়ে হবে ছোট। উল্টোটা হলে সমাজ ও পরিবার সহজে মেনে নিতে চায় না।
তবে সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ হুরারি শিশিরের দাবি, বিয়েতে স্ত্রীর বয়স স্বামীর থেকে বড় হলে সম্পর্কের মানসিক গভীরতা এবং স্থিতিশীলতা বাড়ে। তার মতে, বিয়ের ক্ষেত্রে কেবল বায়োলজিক্যাল বিষয় নয়, মানসিক প্রশান্তি ও জীবনের ভারসাম্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সমাজে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, স্ত্রী সাধারণত স্বামীর তুলনায় বয়সে ছোট হন। কিন্তু যদি স্ত্রী বয়সে বড় হন, তবে তিনি তার অভিজ্ঞতা, পরিপক্বতা এবং স্থিতিশীলতা দিয়ে জীবনসঙ্গীকে মানসিকভাবে শক্তি জোগাতে পারেন।
বিশেষজ্ঞ মনে করেন, একজন পরিণত স্ত্রী জীবনসঙ্গীর কর্মজীবনের চাপ এবং অনিশ্চয়তায় পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হন। বিশেষ করে যেসব পেশায় ঝুঁকি বেশি, সেসব ক্ষেত্রে স্ত্রীর অভিজ্ঞতা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
এছাড়া, সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং পরিবারকে আরও সংগঠিতভাবে পরিচালনা করতে বয়স্ক সঙ্গীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মানসিক শান্তি এবং সম্পর্কের স্থায়িত্বকে গুরুত্ব দিলে, স্ত্রী বয়সে বড় হলেও তা সুখী দাম্পত্য জীবনের এক অনন্য উদাহরণ হতে পারে।
প্রাক্তনকে স্বপ্নে দেখা কীসের ইঙ্গিত? 