শহুরে জীবনে বেশিরভাগ মানুষই বৃষ্টির দিনটা উপভোগ করেন খিচুড়ি বিলাস করে। কেউ কেউ পছন্দ করেন বৃষ্টিতে ভিজতে। তবে এই সময়ে একটু সৃজনশীল চিন্তা আর নিজের পছন্দের কিছু অভ্যাসকে সময় দেওয়া হলে এই ঘরবন্দি মুহূর্তগুলো হয়ে উঠতে পারে আনন্দময় ও অর্থবহ।
এমন দিনে শরীরে সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। এই হরমোন মনকে ভালো রাখা কাজ করে। শরীরে যখন এই ‘হ্যাপি’হরমোন কমে যায় তখন স্বাভাবিক ভাবেই মন-মেজাজ খারাপ থাকবে।
সময় কাটান: অন্ধকারে থাকার সঙ্গে সঙ্গে একা থাকলেও বৃষ্টির দিনে মন খারাপ হতে পারে। একাকিত্ব মানসিক অবসাদ বাড়িয়ে তোলে। মন খারাপ হলে একা না থাকাই ভালো। পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটান। এতে মন খারাপ কেটে যাবে। চাইলে পোষা প্রাণীর সঙ্গেও সময় কাটাতে পারেন।

ফেলে আসা দিনের গল্প: পুরোনো অ্যালবাম খুলে ছবি দেখা, সেই ছবিগুলোর গল্প শোনা বা শেয়ার করা – বৃষ্টির দিনে এক অসাধারণ কাজ হতে পারে। এটি যেমন স্মৃতিচারণ করে মন ভালো করে তোলে, তেমনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্কও আরো গভীর করে।
কাজের মাঝে ব্যস্ত থাকা: আষাঢ়-শ্রাবণের দিনগুলোতে যদি একাই থাকতে চান, তবে চেষ্টা করুন পছন্দের কাজের মাঝে নিজেকে ব্যস্ত রাখার। গান শোনা বা গাওয়া, নাচ করা, ছবি আঁকা, বই পড়ার মতো কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া সিনেমা বা সিরিজ় দেখতে পারেন। আবার বৃষ্টির দিনে মুখরোচক রান্নাও করতে পারেন। পারলে একটু এক্সারসাইজ় করুন। এতে মন খারাপ কেটে যাবে।
শখের ক্রাফ্টিং: পুরোনো বোতল, কাগজ, কাপড় বা অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে তৈরি করতে পারেন ঘর সাজানোর কিছু ভিন্নধর্মী জিনিসপত্র। ইউটিউব বা ফেসবুকে অসংখ্য সহজ টিউটোরিয়াল রয়েছে, সেগুলো অনুসরণ করে আপনার ঘরটিকে করে তুলুন আরও আকর্ষণীয়।

পেটপুজো তো লাগবেই: রান্না করতেও ভালোবাসেন অনেকেই। বৃষ্টির দিনে পরিবারের জন্য কিছু বিশেষ খাবার রান্না করা যেতে পারে। খিচুড়ি আর গরুর মাংস, পিয়াজু, চিতই পিঠা কিংবা গরম স্যুপ এসব খাবার বৃষ্টির দিনে এক ভিন্ন স্বাদ এনে দেয়। রান্নার সঙ্গে পরিবারের অন্যদের অংশগ্রহণ দিনটিকে আরও আনন্দময় ও প্রাণবন্ত করে তুলবে।
