ঢাকা
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

যুক্তরাজ্য সফরের আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক

আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম

যুক্তরাজ্য সফরের আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। 

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। 

হাইকমিশনার সারাহ কুক, সদ্যপ্রাপ্ত সম্মাননা ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’-এর জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘এই স্বীকৃতি আপনার নেতৃত্ব, সমঝোতা ও বৈশ্বিক সংলাপে অবদানের প্রমাণ।’ উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটি শুধু আমার নয়, বরং বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ অগ্রযাত্রার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।’

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী। উভয় পক্ষই বৈঠকে বিনিয়োগে স্বচ্ছতা, রপ্তানি খাতে প্রবেশাধিকার এবং সবুজ শিল্প উন্নয়নে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে। দুই দেশের মধ্যকার বিমান চলাচল সুবিধা আরও আধুনিক ও যাত্রীবান্ধব করতে যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টিও আলোচনা হয়। 

বৈঠকে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য যুক্তরাজ্যে দক্ষতার ভিত্তিতে আরও সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা ও অভিবাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান এবং পাচার হওয়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্যের আইনি ও গোয়েন্দা সহায়তাও কামনা করা হয়।

ড. ইউনূস বৈঠকে বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফার রাজনৈতিক সংলাপ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আশাবাদী যে, খুব শিগগিরই ইতিবাচক ফল আসবে।’ 

বৈঠকে হাইকমিশনার সারাহ কুক বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রশংসা করেন এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষে অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।

বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গুরুত্ব দিচ্ছে- এ কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, যুক্তরাজ্যের কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার সামুদ্রিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে চায়।

Raj/FJ
আরও পড়ুন