আর মাত্র তিন দিন পর, অর্থাৎ ৩০ অক্টোবরের পর থেকে কোনো একজন গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) নিবন্ধিত ১০টির বেশি সিম থাকলে অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গ্রাহকরা চাইলে নিজেদের এনআইডিতে পছন্দমতো ১০টি সিম রেখে অতিরিক্ত সিমগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ডি-রেজিস্টার (নিবন্ধন বাতিল) করতে পারবেন বা অন্য কারও নামে মালিকানা হস্তান্তর করতে পারবেন।
নির্ধারিত সময় শেষে কমিশন দৈবচয়ন পদ্ধতিতে (random selection) অতিরিক্ত সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
যেকোনো গ্রাহক সহজেই জানতে পারবেন তার এনআইডিতে কতটি সিম নিবন্ধিত আছে। এর জন্য মোবাইল ফোন থেকে *16001# ডায়াল করে এনআইডির শেষ চারটি সংখ্যা পাঠালেই তাৎক্ষণিকভাবে নিবন্ধিত সিমসংখ্যা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘দৈবচয়ন’ বলতে বোঝানো হচ্ছে র্যান্ডম সিলেকশন পদ্ধতি। অর্থাৎ, কোনো মানবিক সিদ্ধান্ত বা অগ্রাধিকার ছাড়াই কম্পিউটার অ্যালগরিদমের মাধ্যমে এলোমেলোভাবে অতিরিক্ত সিম বাছাই করা হবে। যার এনআইডিতে ১০টির বেশি সিম নিবন্ধিত থাকবে, তার ক্ষেত্রে কোন সিমগুলো বাতিল হবে, তা কোনো মানুষ নয় কম্পিউটার নিজেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করবে।
বিটিআরসির তথ্যমতে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৬২ লাখ। অথচ প্রকৃত মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ৭৫ লাখের মতো।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী-
- ৮০% গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে।
- ৬ থেকে ১০টি সিম রয়েছে প্রায় ১৬% গ্রাহকের নামে।
- আর ১১টির বেশি সিম ব্যবহার করেন মাত্র ৩% গ্রাহক।
বিটিআরসি জানিয়েছে, অবৈধ সিম ব্যবহার, প্রতারণা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সঠিক মালিকানা নিশ্চিত করতে ও সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে গ্রাহকদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আইফোন ১৭-কে টক্কর দেবে পিক্সেল ও ভিভোর নতুন মডেল
শিশুদের জন্য নিরাপদ এআই তৈরি করছে মাইক্রোসফট