সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল করায় বিএনপিপন্থী ৭ আইনজীবীর বিরুদ্ধে আনা আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ আদালত অব মাননার আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।
একই সাথে আদালত আবেদনকারীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এই জরিমানার অর্থ আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনকে দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য নিয়ে আদালত অবমাননার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীকে তলব করেন আপিল বিভাগ।
বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবী হলেন- সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সভাপতি মরহুম এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল। আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মৃত্যুবরণ করায় তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
গত ২৯ আগস্ট আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা বিএনপিপন্থী এই সাতজন আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন। এই আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যূথী।
গত ১৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বিচারকদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। ওই অনুষ্ঠানেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপ, হস্তক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করেন আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি। এরপর থেকে এ দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে নানা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
