আপনি কি জানেন, শরীর থেকে অস্বস্তিকর উপাদান কিংবা জীবাণু বের করে দেওয়ার জৈবিক একটি উপায় হলো হাঁচি। শুনতে খুব ভালো লাগলেও যাদের হাঁচি শুরু হলে থামতে চায় না তাদের জন্য ব্যাপারটা ভীষণ বিব্রতকর। সর্দি-জ্বর, অ্যালার্জি ইত্যাদি কারণে বিরামহীন হাঁচি হতে পারে। আবার বাতাসে ধুলিকণার পরিমাণ বেড়ে গেলেও অনেকের হাঁচি শুরু হয়। পশুপাখি বা ফুলের পরাগের সংস্পর্শে এলেও নাকের অ্যালার্জি আক্রান্তদের হাঁচির সমস্যা হয়। এমনকি তীব্র গন্ধ, তাপমাত্রার পরিবর্তনেও হতে পারে। যেসব জিনিস নাকে উত্তেজনা সৃষ্টি করে যেমন ঠান্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়া, ঘরের ধুলো-ময়লা, প্রাণীর পশম ও চুল, ওষুধসহ কিছু রাসায়নিক দ্রব্য, প্রসাধনসামগ্রী, উগ্র সুগন্ধি বা তীব্র দুর্গন্ধর কারণে হাঁচি হতে পারে। তবে ঔষধ না খেয়ে হাঁচি কমানোর জন্য মেনে চলতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপায়। চলুন জেনে নেই উপায়গুলো।

জিঙ্ক: বিরামহীন হাঁচি হলে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক আছে এমন খাবার কিংবা ‘সাপ্লিমেন্ট’ যে কোনোটাই বেছে নিতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করায় জিঙ্ক অতুলনীয়। এর প্রাকৃতিক উৎসগুলোর মধ্যে আছে বাদাম, শিম, মটরশুঁটি-জাতীয় খাবারে।
কালো এলাচ: সবার রান্নাঘরেই এলাচ আছে, যা হাঁচি বন্ধ করতে পারে। এলাচের কড়া গন্ধ এবং এতে থাকা ‘এসেন্সিয়াল অয়েল’ ‘মিউকাস’য়ের প্রবাহ রোধ করে এবং অস্বস্তি সৃষ্টিকারী উপাদান বের করে আনে। অ্যালার্জিজনিত হাঁচিতে চিবিয়ে এলাচ খান, কাজে দিবে।
আমলকি: পুষ্টিকর এই ফলটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে থাকা শক্তিশালী ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ নাকের রাস্তা পরিষ্কার করে, ফলে হাঁচি থেমে যায়। তাজা আমলকি চিবিয়ে অথবা আমলকির জুস খেতে পারেন।

আদা ও তুলসি: এই দুটোর মিশ্রণ সর্দি-জ্বর এবং অ্যালার্জি থেকে আরাম দেয়। এজন্য তিন-চারটি তুলসি পাতা ও ছোট এক টুকরা আদা পানিতে ফুটাতে হবে এবং সেই পানি পান করতে হবে।
রসুন: এর গন্ধ সবাই সহ্য করতে না পারলেও হলেও রান্নায় স্বাদ আনতে এই মসলা লাগবেই। রসুনে আছে এক বিশেষ সক্রিয় উপাদান ‘অ্যালিসিন’, যা বন্ধ নাক খুলে দিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় রসুন। এজন্য কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া সামান্য ঘিয়ে ভেজে নিয়েও খেতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে শুধু ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা করে থাকা সবসময় ঠিক নয়। হাঁচির বেশি হলে বিশেষ করে অ্যালর্জিজনিত কারণে হাঁচি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
