পিএইচ (Potential of Hydrogen), যা পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন নামেও পরিচিত। ১৩০টির বেশি ক্লিনিক্যাল স্ট্যাডির রিপোর্ট বলছে, নিখুঁত পিএইচ অর্জনই সুন্দর ত্বকের রহস্য।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, আদর্শ পিএইচ ৫.৫ হলো সেই মাত্রা, যা সারা জীবন সুখী ত্বকের নিশ্চয়তা দিতে পারে। তবে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য হারালে বলিরেখা, বয়সের ছাপ এবং র্যাশসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
ব্রিটিশ জার্নাল অব ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যায়, যাদের ত্বক অতিমাত্রায় খসখসে বা সমস্যায় আক্রান্ত মনে হয়েছে, তাদের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক নেই।
ফোন যেভাবে আপনার বয়স বাড়িয়ে দিচ্ছেবিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বক স্বাভাবিক আচরণ না করলেই বুঝতে হবে কোনো সমস্যা হয়েছে। একজিমা, লালচে ভাব, শুষ্ক ছোপ, ব্রণ, তৈলাক্ততা, সোরিয়াসিস বা অকালবার্ধক্য এ সবই ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যহীনতার ইঙ্গিত দেয়। অর্থাৎ, ত্বকের স্বাভাবিক সুরক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মার্নি নুসবাউমের মতে, ত্বকের প্রতি রূঢ় আচরণই এর জন্য দায়ী। পিএইচ ব্যালান্স ব্যাহত হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো-
- আক্রমণাত্মক স্ক্র্যাবিং: খুব আক্রমণাত্মকভাবে ত্বক স্ক্র্যাব করা।
- অতিরিক্ত গরম পানি: ত্বক পরিষ্কারে বেশি গরম পানি ব্যবহার করা।
- হার্শ ক্লিনজার/সাবান: এমন ক্লিনজার বা সাবান ব্যবহার করা যা ত্বকের জন্য খুবই কঠোর বা ক্ষারযুক্ত।
- দূষিত পরিষ্কারক কাপড়: মুখ পরিষ্কার করা বা পানি শুকানোর জন্য ব্যবহৃত কাপড়ে সমস্যা থাকা।
- চরম আবহাওয়া: অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম আবহাওয়া।
- মানসিক চাপ: অতিমাত্রায় দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ।
- রাসায়নিক প্রডাক্টের ব্যবহার: প্রচুর রাসায়নিক সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা।
ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা জরুরি-
- কঠোর উপাদান পরিহার: মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সমৃদ্ধ প্রসাধন ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে।
- প্রাকৃতিক যত্ন: এর বিপরীতে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া এবং হারবাল সাবান বা লোশন ব্যবহার করা।
- পানির গুণমান পরীক্ষা: যে পানি ব্যবহার করছেন তা ক্ষারমুক্ত কি না, তা পরীক্ষা করা জরুরি।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
- রোদ এড়িয়ে চলুন: সবশেষে, ত্বককে সুস্থ রাখতে রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, ত্বকের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার হলে ত্বক সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যকর দেখাবে, আর্দ্রতা ও দীপ্তিও ফিরে পাবে। একইসঙ্গে স্কিন কেয়ার পণ্যগুলোও ত্বকের ওপর আরও ভালো কাজ করবে।
